অনির্বাচিত ব্যক্তিকে জেলা পরিষদ প্রশাসক নিয়োগ প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

জেলা পরিষদ প্রশাসক পদে কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তিকে (সরকারি কর্মকর্তা) নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, জনপ্রসাশন সচিব, আইন সচিব ও জেলা পরিষদ শাখার উপসিচবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মাদ বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া এই তথ্য জানান।
পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়ে পরবর্তী পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত অনির্বাচিত ব্যক্তিকে প্রশাসক নিয়োগ প্রশ্নে এই রুল জারি করা হয়েছে।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বুধবার (২৭ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এই রুল দেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী। আর রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মাদ বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া।
গত ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন দায়ের করেন ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলা পরিষদের ৫নং (সদর থানা) ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য ও বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. বাবুল মিয়া। পিরোজপুরের ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও পঞ্চগর জেলা পরিষদের সদস্য মো. হারুন অর রশিদও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সরকার গত ১৭ এপ্রিল জেলা পরিষদের ক্ষমতা হস্তারের বিষয়ে যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তা সংবিধানের ৭, ১১, ২৬, ২৭, ৩১, ৪০, ৫৯ ও ৬০ এই অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আমরা রিট করেছি। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
১৭ এপ্রিল সরকার এ বিষয়ে একটি গেজেটে উল্লেখ করে, জেলা পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন প্রশাসক জেলা পরিষদের কার্যাবলি সম্পাদন করবেন। সরকার একজন উপযুক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে। তবে সেই মেয়াদ একের অধিকবার বা ১৮০ দিনের বেশি হবে না।
এমএ/এমএমএ/
