মানবতাবিরোধী অপরাধ: মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে সাবেক সাংসদের আপিল

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক সাংসদ আব্দুল খালেক মণ্ডল খালাস চেয়ে আপিল দায়ের করেছেন।
আপিল দায়েরের বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের আমির খালেকের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন রবিবার (২৪ এপ্রিল) নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৪ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ দুজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল ওই রায় দেন। মুক্তিযুদ্ধকালে খুন, ধর্ষণ, অপহরণসহ মানবতাবিরোধী ৬টি অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দণ্ড মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোখলেসুর রহমান বাদল, সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মতিউর রহমান আকন্দ ও মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদরাসায় নাশকতার উদ্দেশে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় ট্রাইব্যুনাল। শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচজনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।
মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়। ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এ মামলায় তখন চারজন আসামি ছিলেন। ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল সূচনা বক্তব্য এবং সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়।
মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। যার মধ্যে ৬ জনকে হত্যা, ২ জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ছিল।
২০২১ সালের ১১ নভেম্বর মামলার শুনানি শেষ হয় এবং রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমান রাখা হয়।
এমএ/আরএ/
