অধিগ্রহণের জমি ২০ গুণ দাম বাড়ানোর চেষ্টার সত্যতা পেয়েছে দুদক
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খান চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকার নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন বলে সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কমিশন সচিব মাহবুব হোসেন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এতে সরকার প্রায় ৩৬০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
কমিশন সচিব বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসন জমির মূল্য নির্ধারণ করবে তখন বিষয়টি ধরা পড়ে যে, সেলিম চেয়ারম্যান ১৩৯ জমির দলিল বেচা-কেনার যে মূল্য দেখিয়েছেন তা সরকারের নির্ধারিত মৌজা মূল্যের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। জমির মূল্যের তারতম্য প্রকাশ হওয়ার পরে সেলিম চেয়ারম্যান জমির মৌজা মূল্য বাড়ানোর যে চেষ্টা বা পরিকল্পনা করেছিলেন সেটি আর সফল হয়নি।
তিনি বলেন, অভিযানকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ ও মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন ও অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পত্তি অর্জন বিষয়ে চাঁদপুরের লক্ষ্মীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ যাচাইয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুমিল্লার সহকারী পরিচালক রাফী মো. নাজমুস সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম গত ৬ এপ্রিল অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানকালে দুদকের টিম চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মৌজায় চাঁদপুর-হাইমচর সড়কের পাশে মেঘনা নদী থেকে ৮০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত জমি সরজমিন পরিদর্শন করে। কমিশন টিম, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, বিআইডব্লিউটিএ ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন থেকে অভিযোগ সম্পর্কিত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে। টিমের সংগৃহীত রেকর্ডপত্রে চাঁদপুর জেলার পদ্মা-মেঘনা নদী অংশে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতি-পরিবেশ বিনষ্টসহ রাজস্ব ক্ষতি এবং প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণে সরকারের বিরাট অঙ্কের অর্থ লুটপাটের দূরভিসন্ধি সম্পর্কে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন।
এমএ/এসএন