অর্থপাচার: বরকত-রুবেলের অভিযোগ গঠন শুনানি ১৯ মে

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের অবশিষ্ট শুনানির জন্য আগামী ১৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, আসিকুর রহমান ফারহান, খন্দোকার মোহতেসাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলি মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে করা এ মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ দিন ধার্য করে রবিবার (১৭ এপ্রিল) আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এদিন অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হলেও সম্পন্ন না হওয়ায় আদালত অবশিষ্ট অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
গত ৭ মার্চ আসামিদের নির্দোষ দাবি করে আইনজীবী শাহিনুর রহমান অব্যাহতির আবেদন করে। এরপর অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়।
গত বছর সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
আগের বছর ২০২০ সালের ২৬ জুন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে অর্থপাচারের অভিযোগে ঢাকার কাফরুল থানায় বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত ফরিদপুরের এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি বিভাগের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া তারা মাদক কারবার ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এসি ও নন-এসিসহ ২৩টি বাস, ডাম্প ট্রাক, বোল্ডার ও পাজেরো গাড়ির মালিক হয়েছেন। সেই সঙ্গে দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন তারা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দুই ভাই রাজবাড়ীর এক বিএনপি নেতার সঙ্গী ছিলেন এক সময়। আগে তাদের সম্পদ বলতে তেমন কিছু ছিল না। ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর ওই এলাকায় এক আইনজীবী খুন হন। ওই হত্যা মামলারও আসামি দুই ভাই।
এমএ/এসএন
