সেই তরুণীকে কানাডিয়ান হাইকমিশনের কাছে হস্তান্তর

বাবা-মায়ের বাসায় গৃহবন্দি থাকা ১৯ বছর বয়সী কানাডিয়ান তরুণীকে দেশটির হাইকমিশনের কাছে হস্তান্তর করেছেন বাংলাদেশের হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার রায় দেওয়ার পর তাকে হস্তান্তর করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সারা হোসেন। এ ছাড়া তরুণীর বাবা ও কানাডিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন আদালতে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর মুগদায় বাবা-মায়ের বাসায় গৃহবন্দি থাকা ১৯ বছরের কানাডিয়ান তরুণীকে হাজির করতে গত ৫ এপ্রিল নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে তরুণীর অসম্মতিতে তাকে ১০ মাস ধরে আটক রাখা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতেও রুল জারি করেছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক এবং সেখানকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন। তার বাবা-মাও কানাডায় থাকতেন। গত বছরের মার্চ তাকে নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। এরপর ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যেতে চাইলেও তাকে যেতে দেওয়া হয়নি। তরুণীর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাসায় তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। একপর্যায়ে ওই তরুণী গোপনে ই-মেইল করে কানাডা সরকার ও ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনকে এ কথা জানান। ওই তরুণী কানাডায় ফিরে যাওয়ারও ইচ্ছা পোষণ করেন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মুগদা থানায় কানাডিয়ান হাইকমিশন থেকে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। তারপর ওইদিনই কানাডিয়ান হাইকমিশনের পক্ষে এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিস (ব্লাস্ট) এবং আইন ও শালিস কেন্দ্রের সহযোগিতায় হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটে পুলিশের আইজি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, মুগদা থানার ওসি, ওই তরুণীর বাবা-মাকে বিবাদী করা হয়।
এমএ/এসএন
