হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট রাষ্ট্রপক্ষ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় জেএমবির চার সদস্যের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু।
রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের এ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বলেন, আমরা রায়ে সন্তুষ্ট। রায় দ্রুত কার্যকর হোক, এমনটাই চাই। জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সে সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল ও বিতর্কিত করতে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। এ কারণে রায় ঘোষণায় কোনো অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই। বাকিটা পূর্ণাঙ্গ রায় দেখে জানতে হবে।
তিনি বলেন, সাক্ষী সময় মতো হাজির না হওয়ায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ হতে দেরি হয়েছে।
উল্লেখ্য বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মামুন জেএমবির চার সদস্যের মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। এ মামলার অপর আসামি হাফিজ মারা গেছেন।
প্রসঙ্গত ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
ওই হামলার পর ২২ দিন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুমায়ুন আজাদ। পরে জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১২ আগস্ট মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ মামলায় জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক ও আনোয়ার আলম ওরফে ভাগিনা শহিদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যা মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪১ জন সাক্ষ্য দেন।
এমএ/টিটি
