সবুজবাগে নারী হত্যা: এসির মিস্ত্রির দুই সহকারীরও দায় স্বীকার
রাজধানীর সবুজবাগে বাসায় লুটপাট করতে বাধা দেওয়ায়, এক নারীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন এসি মিস্ত্রির দুই সহকারী।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে।
সবুজবাগের দক্ষিণগাঁওয়ের বটতলা এলাকায় তানিয়া আফরোজ (২৬) নামের ওই নারীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার এসির মিস্ত্রি বাপ্পীর দুই সহকারী আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক এই জবানবন্দি দিয়েছেন। রিমান্ড শেষে এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় দুই আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন।
এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক শেখ আমিনুল বাশার ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত আসামি হৃদয়ের এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহের আদালত আসামি রুবেলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় সোমবার (৪ এপ্রিল) আসামি বাপ্পীও স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ২৯ মার্চ আদালত আসামি বাপ্পির এবং ৩০ মার্চ আসামি হৃদয় ও রুবেলদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলাসূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ রাতে ওই নারীর বাসায় এসি মেরামত করতে যান টেকনিশিয়ান বাপ্পী। বাপ্পী এসি ঠিক করতে এসে সুযোগমতো মালামাল লুট করতে গেলে তানিয়া বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তানিয়াকে হত্যা করে বাপ্পী। হত্যার পর তিন-চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, নগদ প্রায় ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যান বাপ্পী।
নারীর মরদেহের পাশে মুখে স্কচটেপ লাগানো অবস্থায় তার দুই শিশুসন্তান পড়ে ছিল। তাদের বয়স তিন বছর ও ১০ মাস।
এমএ/এমএমএ/