রায় কার্যকর হলে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হব: তাহেরের স্ত্রী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় দ্রুত কার্যকর চান নিহতের স্ত্রী সুলতানা আহমেদ।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ দুইজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রেখেছেন। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। দ্রুত এ রায় কার্যকরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছি। রায় কার্যকর হলে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হব।
মঙ্গলবার সকালে অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
রায়ে দুই আসামির যাবজ্জীবন দণ্ডও বহাল রেখেছেন আদালত। তারা হলেন- নাজমুল আলম ও তার স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালাম।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়। ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় যথাক্রমে বিচারিক আদালত ও উচ্চ আদালতের পর সর্বোচ্চ আদালতের রায় এল মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল)।
এমএ/এসএন