মামার খুনি ভাগ্নের দণ্ড কমে যাবজ্জীবন
মামাকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক ভাগ্নের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন উচ্চ আদালত। পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার যোলশত গ্রামের এই ঘটনার মামলায় এই আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামির ফৌজদারি আপিল খারিজ এবং জেল আপিল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৩০ মার্চ) রায় দেন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি জাহিদ সরওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী পুর্নেন্দু বিকাশ দাশ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশিদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহম্মেদ হিরু। দণ্ডপ্রাপ্ত নিবাস চন্দ্র শীল পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা গ্রামের মৃত সুখরঞ্জন শীলের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি নিবাস তার মামা হেমলাল শীলের কাছে এক লাখ টাকা পেতেন। ২০১৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নিবাস পাওনা টাকার জন্য মামার বাড়িতে যান। ওইদিন বিকেলে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে নিবাস ছুরি দিয়ে হেমলালকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ১৫ জুন পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম কিবরিয়া আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।
রায়ের পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহম্মেদ হিরু জানান, আসামি জবানবন্দিতে বলেছেন মায়ের অসুস্থতার কারণে মামার কাছ থেকে টাকা আনার জন্য গিয়েছিলেন। আর তার মামাকে ভয় দেখাতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ছুরির আঘাতে মামা মরে যাবেন সেটা কল্পনা করতে পারেননি। অর্থাৎ হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত নয়। এসব কারণ এবং আসামির বয়স বিবেচনায় তার দণ্ড কমে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে উচ্চ আদালত।
এমএ/এমএমএ/