জয়পুরহাটে মতিন হত্যা: হাইকোর্টের রায় বুধবার
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী গ্রামের আব্দুল মতিন হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের ওপর উচ্চ আদালতে ডেথ রেফারেন্স শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামিদের আপিলের ওপরও শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামীকাল বুধবার (৩০ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) শুনানি শেষে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, আহসান উল্লাহ, নাজমুল হাসান রাকিব, সৈয়দা ফারাহ হেলাল ও মো. বেলাল হোসেন। আসামি পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন এস এম শফিকুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাসুদ রানা মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সকালে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধারকী গ্রামের আব্দুল মতিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন রাতেই নিহত মতিনের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১৭ আগস্ট সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন জেলা ও দায়রা জজ আব্দুর রহিম।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— ধারকী গ্রামের ওয়াজেদ আলী ওরফে তোরাফ, মো. চৈতুন মোল্লা, ছাবাদুল, মো. মাজিরউদ্দিন, মো. আনু, আবু হাসান দিলীপ ও মন্টু মিয়া।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন— একই গ্রামের মাহবুব আলম বাবু। এ ছাড়া বিচার চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। এ সব মামলার শুনানি নিয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন উচ্চ আদালত।
এমএ/ আরএ/