চাঁদপুরের রাজু হত্যা: মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আসামির যাবজ্জীবন
শাহাদাত হোসেন রাজু হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র আাসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেয়।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের আইটপাড়ার ২০১২ সালের ওই ঘটনার মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামির আপিল খারিজ করে এই রায় দেয় উচ্চ আদালত।
হাইকোর্টে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এস এম শফিকুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
বশির উল্লাহ জানান, আসামির বয়স কম। তাই তার বয়স বিচেনায় সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালের ২৩ অগাস্ট ফরিদগঞ্জ উপজেলার আইটপাড়ার মো. বিল্লাল হোসেন মিজির বসতঘরে ঢুকে তার ছেলে শাহাদাত হোসেন রাজুকে (১৯) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় মো. বিল্লাল হোসেন মিজি বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুনুর রশিদ ২০১২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুনুর রশিদ মো.আরিফ মিজিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। দণ্ডিত মো. আরিফ মিজি (২৮) ফরিদগঞ্জ উপজেলার আইটপাড়ার রেজাউল করিম ওরফে হোসেন মিজির ছেলে।
পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল করেন।
এমএ/এমএমএ/