শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মার্কিন সহায়তা বন্ধে সংকটে রোহিঙ্গারা, প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের ওপর

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ বেশ কিছু সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার ফলে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও উন্নয়ন সহযোগীরা। বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তাদের কর্মসূচি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। স্বাধীনতার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, গণতন্ত্র ও সুশাসন, মৌলিক শিক্ষা এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বড় প্রকল্পগুলোতে ইউএসএআইডির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায়ও যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ২৫০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা প্রদান করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ ২১০ কোটি ডলার।

তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচিগুলো আমেরিকান স্বার্থ ও মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং তা বিশ্বশান্তি বিঘ্নিত করছে। এ কারণে বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচির কার্যকারিতা পুনর্মূল্যায়ন ও প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি, সহায়তার ব্যয় এবং প্রভাবের বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন কোন প্রকল্প চালু থাকবে, কোনটি বন্ধ হবে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকেও বেরিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, ডব্লিউএইচওতে যুক্তরাষ্ট্র ছিল অন্যতম বড় অর্থদাতা। দেশটির এই সিদ্ধান্তে ডব্লিউএইচও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, যার প্রভাব বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি নীতি ও সহায়তার ক্ষেত্রে তিনটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে-এটি কি যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ করবে? রুবিও আরও বলেন, “আমাদের কার্যক্রমে উদ্ভাবনী এবং মনোযোগী হতে হবে। এর জন্য কিছু অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস এবং পুরনো কিছু অনুশীলন বাদ দেওয়া জরুরি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অংশীদার। যদি এই সহায়তা দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ থাকে, তবে সংকট সমাধানে বাংলাদেশের এককভাবে দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে পড়বে।

Header Ad
Header Ad

‘ধর্ষণ’ শব্দের বদলে ‘নারী নির্যাতন’ ব্যবহারের অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএম‌পি) ক‌মিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএম‌পি) ক‌মিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এর বদলে তিনি ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নারী নিপীড়ন’ শব্দ ব্যবহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

শনিবার (১৫ মার্চ) ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে ডেইলি স্টার ভবনে আয়োজিত ‘হেল্প’ অ্যাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে অ্যাপটি চালু করেছে। যা গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

ডিএম‌পি ক‌মিশনার বলেন, আমি দুইটি শব্দ খুব অপছন্দ করি, এর মধ্যে একটি হলো ‘ধর্ষণ’। আপনাদের কাছে অনুরোধ, এটা ব্যবহার করবেন না। আপনারা ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নিপীড়ন’ বলবেন। আমাদের আইনেও নারী ও শিশু নির্যাতন বলা হয়েছে। যে শব্দগুলো শুনতে খারাপ লাগে, সেগুলো আমরা না বলি।

যেসব ঘটনা জনমনে আতঙ্ক বা ভয় সৃষ্টি করে, তা কম দেখানোর অনুরোধ জানিয়েছেন শেখ সাজ্জাত আলী। একটি গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বসিলার একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা, আমরা ডিটেক্ট করেছি। দুই–তিন ঘণ্টায় কয়েকবার দেখিয়েছে। যেসব ঘটনা প্যানিক সৃষ্টি করে, সেন্স অব ইনসিকিউরিটি তৈরি করে, তা যদি আপনারা বারবার না দেখান তাহলেই আমার মনে হয় ভালো হবে।

অনুষ্ঠানে ম‌হিলা প‌রিষ‌দের সভাপ‌তি ডা. ফৌ‌জিয়া মোস‌লেম ব‌লেন, কমিউনিটির সম্পৃক্তরা ছাড়া এই সমস্যা থেকে আমরা কোনোভাবেই বেরিয়ে আসতে পারব না। তি‌নি ব‌লেন, একটি মেয়ে ধর্ষিত হলে পুরো দেশ ধর্ষিত হয়। এটি কোনো ব্যক্তির ইস্যু নয়, এটি একটি সামাজিক ইস্যু, পুরো দেশের ইস্যু।

সুইচ বাংলা‌দে‌শের নির্বাহী প‌রিচালক মাইনুল আহসান ফয়সাল ব‌লেন, প‌রিসংখ‌্যনে দেখা গে‌ছে, গণপরিবহণে ৬৪ শতাংশ নারী বিভিন্ন ধরণের হ্যারাজমেন্টের শিকার হচ্ছে। এসব হ্যারাজমেন্ট কমাতেই আমাদের এই অ্যাপ।

সভাপ‌তির বক্ত‌ব্যে বি‌জে‌সির চেয়ারম‌্যান রে‌জোয়ানুল হক ব‌লেন, ধর্ষণ শব্দটি ব্যবহার না করে ঘটনার ভয়াবহতা বোঝাতে ভিন্ন কী শব্দ ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়ে ভাবা যেতে পারে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সব ধরনের সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি।

অনুষ্ঠা‌নে আরও বক্তব‌্য রা‌খেন স‌লিউশন স্পি‌নের প‌রিচালক আব্দ‌ুল্লাহ্ আল সা‌লেহ, বি‌জে‌সির সদস‌্য স‌চিব ইলিয়াস হো‌সেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছি‌লেন, বি‌জে‌সির ট্রেজারার মানস ঘোষ, ট্রা‌স্টি নূর সাফা জুলহাজ ও তালাত মামুন।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা

ভেজাল শিশু খাদ্য ধ্বংস। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, শিশু খাদ্য ও বেকারী পণ্য সংক্রান্ত তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, মেসার্স কালাম স্টোরের মালিক আবুল কালামকে কোমল পানি উৎপাদন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং কেনা সংক্রান্ত কাগজপত্র না থাকার কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৭ ও ৪৫ অনুসারে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে, মেসার্স গাউছিয়া ফুডের মালিক হাফিজুর রহমানকে বেকারী পণ্য অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সংরক্ষণ এবং নিম্নমানের সুগন্ধী ব্যবহার করার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪৩ অনুসারে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময়, ১৫০ বস্তা কোমল পানি জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। তদারকি কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানসম্মত পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পণ্য তৈরী ও সংরক্ষণ এবং অনুমোদিত পানীয় ও শিশু খাদ্য বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

তদারকি কার্যক্রমে ক্যাবের সদস্য রফিকুল ইসলাম ও জেলা পুলিশের একটি দল সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

Header Ad
Header Ad

সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী

ছবি: সংগৃহীত

‘প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস-/তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।।’এই ‘সর্বনাশ’কে যে কখন কার চোখে দেখে বসেন, আগেভাগে তা নির্ণয় করা কঠিন।

একইভাবে ‘প্রেম একবারই এসেছিলো নীরবে’ গানের ‘একবার’টা যে কার জীবনে কখন কীভাবে চলে আসে, সেই হিসাবও মেলে না সহজে। স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে গিয়েও সহকর্মীর চোখে ‘সর্বনাশ’দেখতে পারেন কেউ। মনে হতে পারে, ‘লাগবে, তাকে আমার লাগবে। সে ছাড়া আর কিছু চাইনে।’ সহকর্মীকে ‘ভালোলাগা’র কারণও রয়েছে প্রচুর। কর্মক্ষেত্রে কাটাতে হয় দিনের একটা দীর্ঘ সময়। মিলেমিশে কাজ করতে হয়। যে কারণে একে অপরকে জানার সুযোগও তৈরি হয়। বিশেষ কোনো গুণ বা আচার-ব্যবহার কিংবা স্রেফ ভালোলাগার কারণেই ভালোলাগা; আর ভালোলাগা থেকে মায়া তৈরি হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের অনেক সুবিধার কথাও অনেকে বলে থাকেন। তবে সুবিধা যার আছে, তার কিছু অসুবিধাও থাকে। তাই কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে পারলে অসুবিধাগুলো এড়ানো সহজ হয়।

আচরণে সংযম

কথায় বলে, ‘যত থাকে গুপ্ত/ তত হয় পোক্ত/ যত হয় ব্যক্ত/ তত হয় ত্যক্ত।’ তাই ফলাও করে সম্পর্কের কথা জানান দেওয়া কিংবা স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে নানা অনুভূতি ব্যক্ত করার চেয়ে বিষয়টা নিজেদের মধ্যে রাখতে পারাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, পরে দেখা গেল, কোনো কারণে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা টানাপোড়েনের সৃষ্টি হলো, তখন অফিসে সহকর্মীদের সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তা ছাড়া সম্পর্কের বিষয়টা অফিসে অনেকে জানলে ভালোর চেয়ে মন্দ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। বিশেষ করে ফিসফাস, কানাকানি, সমালোচনা ‍ও গুজবের মধ্যে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই সম্পর্কের বিষয়টা নিজেদের মধ্যে রাখতে পারলে অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, সহকর্মীদের কাছে এসব বিষয় গোপন রাখা কঠিন। তাই ফলাও করে না বললেই নিস্তার মিলল, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। নিজেদের আচার-আচরণ, চলাফেরা এমনকি কথাবার্তাতেও ব্যাপারটা যেন ফুটে না ওঠে, সেদিকে যেমন দৃষ্টি রাখতে হবে, তেমনই পেশাদার আচরণও বজায় রাখতে হবে।

অফিসের নিয়ম জানুন

ভালোবাসার মতো ভালোবাসলে নিয়মকানুন পথ আটকাতে পারে না। না, কথায় কোনো ভুল নেই। তবে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে চাকরি হারানোর ঝুঁকিও কিন্তু উপেক্ষা করা যায় না। প্রশ্ন করতে পারেন, চাকরি হারানোর ঝুঁকি, কীভাবে? প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট চাকরিবিধি আছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক অনুমোদন করে না। কেন করে না? ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’। কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই স্বার্থ–সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। রয়েছে পদোন্নতি, প্রণোদনাসহ নানা প্রত্যাশা। সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে বা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে বিষয়গুলো নানাভাবে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাহলে উপায়? ভালোলাগা, ভালোবাসা তো আর পরিকল্পনা করে হয় না। স্বতঃস্ফূর্তভাবে হয়ে যায়। তাই প্রতিষ্ঠানের চাকরিবিধির নিয়ম জেনে নিতে হবে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ না থাকে, তাহলে চিন্তা রইল না। আর বিধিনিষেধ থাকলে সে ক্ষেত্রে যেকোনো একজনকে যত দ্রুত সম্ভব অন্যত্র চাকরির চেষ্টা করতে হবে।

 প্রেম ভেঙে গেলে

‘ব্রেকআপের ঝুঁকি’ সম্পর্কেও পূর্ণ ভাবনা থাকা জরুরি। কোনো কারণে সম্পর্ক ভেঙে গেলে সম্বোধন যেন ‘তুমি’ থেকে ‘তুই’তে গিয়ে না ঠেকে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কারণ, বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হলে অফিসের পরিবেশ নষ্ট হবে। পাশাপাশি সহকর্মীদের কাছে নিজেদের সম্মান হারানোরও ঝুঁকি দেখা দেবে।

কখন জানবেন সহকর্মীরা

দেখা গেল, সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনো লিখিত বা স্বীকৃত বিধিনিষেধ নেই এবং দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে ঠিকও হয়ে গেল। কার্ডও ছাপানো হলো। কিন্তু এ পর্যন্ত অফিসের কেউ কিছু জানেন না। দুজনে বিয়ের কার্ড নিয়ে অফিসের বস, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সহকর্মীদের হাতে দিয়ে বললেন, ‘সবাইকে কিন্তু আসতে হবে।’ ভুল করেও কিন্তু এটা করা যাবে না। কারণ, এটা করলে বিশ্বস্ততা কমে যায়। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বস ও সহকর্মীরা বিষয়টা ভিন্নভাবে নাও নিতে পারেন, যা পরবর্তী সময় প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করার ক্ষেত্রে ভালো ফল বয়ে আনবে না। তাই এ জটিলতা এড়াতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কিছুদিন সময় নিয়ে বুদ্ধিদীপ্তভাবে সহকর্মীদের সম্পর্কের বিষয়টা জানাতে হবে। তারপর বিয়ের কার্ড দিয়ে দাওয়াত দিতে হবে। এতে তারা যেমন খুশি হবেন, তেমনই বিষয়টা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করবেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘ধর্ষণ’ শব্দের বদলে ‘নারী নির্যাতন’ ব্যবহারের অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের
চুয়াডাঙ্গায় দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা
সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন ধর্ষক হিটু শেখ
স্ত্রী,সন্তানসহ ৯ সফরসঙ্গী নিয়ে ঢাকা আসছেন হামজা, বরণে প্রস্তুত বাফুফে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু
বিরামপুরে মাদকসহ ১৬ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ, আটক ১
প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগ শিগগিরই
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব
গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
রাজশাহী স্টেশনে ধুমকেতু ও বাংলাবান্ধা ট্রেনের সংঘর্ষ
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল সরবরাহ বন্ধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
দেশে তিন মাসেই কোটিপতি হয়েছেন ৫ হাজার
পাকিস্তান থেকে এলো ২৬ হাজার টন আতপ চাল
বাংলাদেশের সংকটে পাশে থাকার ঘোষণা জাতিসংঘ মহাসচিবের
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা  
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল
ট্রাম্পের অনুরোধের পর ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান পুতিনের
এক বছর পর ব্রাজিল জাতীয় দলে ডাক পেয়েই আবার ইনজুরিতে নেইমার
আমাকে কাজের বিনিময়ে শোয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে: অভিনেত্রী স্বাগতা