সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মার্কিন সহায়তা বন্ধে সংকটে রোহিঙ্গারা, প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের ওপর

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনসহ বেশ কিছু সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার ফলে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও উন্নয়ন সহযোগীরা। বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএআইডির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে তাদের কর্মসূচি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। স্বাধীনতার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, গণতন্ত্র ও সুশাসন, মৌলিক শিক্ষা এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বড় প্রকল্পগুলোতে ইউএসএআইডির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায়ও যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ২৫০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা প্রদান করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য বরাদ্দ ২১০ কোটি ডলার।

তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচিগুলো আমেরিকান স্বার্থ ও মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং তা বিশ্বশান্তি বিঘ্নিত করছে। এ কারণে বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচির কার্যকারিতা পুনর্মূল্যায়ন ও প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

নির্বাহী আদেশে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি, সহায়তার ব্যয় এবং প্রভাবের বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন কোন প্রকল্প চালু থাকবে, কোনটি বন্ধ হবে। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকেও বেরিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, ডব্লিউএইচওতে যুক্তরাষ্ট্র ছিল অন্যতম বড় অর্থদাতা। দেশটির এই সিদ্ধান্তে ডব্লিউএইচও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে, যার প্রভাব বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছেন। প্রতিটি নীতি ও সহায়তার ক্ষেত্রে তিনটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে-এটি কি যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ, শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ করবে? রুবিও আরও বলেন, “আমাদের কার্যক্রমে উদ্ভাবনী এবং মনোযোগী হতে হবে। এর জন্য কিছু অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাস এবং পুরনো কিছু অনুশীলন বাদ দেওয়া জরুরি।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ছিল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অংশীদার। যদি এই সহায়তা দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ থাকে, তবে সংকট সমাধানে বাংলাদেশের এককভাবে দায়িত্ব পালন কঠিন হয়ে পড়বে।

Header Ad
Header Ad

কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে: জামায়াত সেক্রেটারি

জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে। ফ্যাসিবাদের লোকেরা জামায়াতে ইসলামীকে যেভাবে নির্মূল করতে চেয়েছিল, তাদের মুখে এখন ফ্যাসিবাদের সেই গন্ধ পাওয়া যায়।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় পাটকেলঘাটা ফুটবল মাঠে কর্মী সম্মেলনে এ কথা বলেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক অবদান ছিল। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতারা গত তিনটা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারিনি। বহু লোক জীবন দিয়েছে, নিহত হয়েছে, মামলা হয়েছে। আমাদের দেশের ছাত্ররা, সেই আন্দোলন তাদের হাতে তুলে নিয়েছিল। আমাদের সন্তানরা সেই আন্দোলন জীবন ও রক্ত দিয়ে সফল করেছে।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের যুগের অবসান হয়েছে। এখন আসুন, একটি জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর অনৈক্য-বিভেদ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো ভূমিকা না নিয়ে, আগস্টের মূল চেতনাকে ধারণ করে অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাই।

কর্মী সম্মেলনে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. মফিদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক ইদ্রিস আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহা. ইজ্জতউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক প্রমুখ।

 

Header Ad
Header Ad

নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের  

ছবিঃ সংগৃহীত

গতকাল রাতে ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রত্যাহারে সময় বেঁধে দিয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা বাস্তবায়ন করা না হলে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও করা হবে, এমন ঘোষণা দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা কলেজের শহীদ মিনার থেকে শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী মইনুল হোসেন বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে হামলা চালিয়েছে। এর দায়ভার পুলিশকে নিতে হবে। নিউমার্কেট থানার ওসি এবং এসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দেয়ার দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নেয়া না হলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিউমার্কেট থানা ঘেরাও করা হবে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একইসঙ্গে ৭ কলেজের সামনে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো যানবাহন চলতে দেয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেন।

এদিকে, আজ দুপুরে ঢাবি প্রশাসনের সঙ্গে ৭ কলেজের অধ্যক্ষদের জরুরি সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজ না রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এজন্য ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ঢাবির অধীনে এসব কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি না নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এসেছে।

Header Ad
Header Ad

ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন : চরমোনাই পীর  

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ছবিঃ সংগৃহীত

চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান নেওয়া ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপরে অমানসিক হামলা-নির্যাতনের নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ ও জাতি গড়ার কারিগর অধিকার বঞ্চিত ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপরে পুলিশি হামলা, নির্যাতনের ঘটনা অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।

রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে যাওয়ার পরেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গতকাল যেভাবে নারী শিক্ষক ও বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের ওপর হামলে পড়ে নির্যাতন চালিয়েছে, তা দেশবাসীকে হতবাক করেছে। একটি সভ্য দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এমনভাবে হামলা ও নির্যাতন করতে পারে না।

তিনি বলেন, ইবতেদায়ি শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে এই জুলুমের সঙ্গে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আগামী দিনে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে; সেজন্য সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে।

চরমোনাই পীর বলেন, ৪০ বছর ধরে অনুদানভুক্ত ও অনুদানবিহীন মাদ্রাসার শিক্ষকেরা বিনা বেতনে শিক্ষকতা পেশায় মানবেতর জীবন যাপন করার পরেও তাদের যৌক্তিক সমস্যা সমাধান না করা দুঃখজনক। অতীতের সরকার এগুলো সমাধান না করে আকুণ্ঠ দুর্নীতির মাধ্যমে নিজেরা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হয়েছে।

এসব শিক্ষকদের দাবি মেনে নিয়ে তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে: জামায়াত সেক্রেটারি
নিউমার্কেট থানা ঘেরাওয়ের ঘোষণা ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের  
ইবতেদায়ি শিক্ষকদের জাতীয়করণ করে ক্লাসে ফিরিয়ে দিন : চরমোনাই পীর  
‘‘বেতনে না পোষালে অন্য পেশায় চলে যান’’ সংবাদের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা
ক্ষমতার লোভে তরুণ প্রজন্মকে কেনা সম্ভব নয়: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বিচারপতি মানিকের মৃত্যু! যা জানা গেলো
মধ্যরাত থেকে সারাদেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে বললেন ছাত্রশিবির  
মালানের তান্ডবে খুলনাকে হারিয়ে কোয়ালিফায়ারে বরিশাল
বাজেটে তামাক-কর ও দাম বাড়ানোর দাবি  
পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে: ডিএমপি
নিলামে উঠল আওয়ামী মন্ত্রীদের জন্য আনা বিলাসবহুল ৪৪ গাড়ি
১০ বিষয়ে একমত বিএনপি-ইসলামী আন্দোলন
শেষ সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন থালাপতি বিজয়
টোল নিতে দেরি হওয়ায় টোলকর্মীকে লাঞ্ছিত করলেন বিএনপি নেতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত থাকছে না সাত কলেজ
টাঙ্গাইলে ট্রাক কেড়ে নিল বিদ্যুৎ লাইনম্যানের প্রাণ
চেহারা নয়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে পরিচয় যাচাইয়ের দাবিতে মানববন্ধন
ঘুষ খেয়ে ৫৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভোটার বানান সাবেক ইসি সচিব!
শবে মেরাজের রাতের ফজিলত ও আমল