জামিনে মুক্ত হয়ে যা বললেন ট্রাম্প

গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর জামিনে মুক্তি পান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালত থেকে বেরিয়ে গণতান্ত্রিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন দাবি করে কড়া ভাষায় বাইডেন সরকারের সমালোচনা করেছেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ‘মুখ বন্ধ রাখতে’ স্টরমি ড্যানিয়েলস নামের এক পর্ন তারকাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ঘুস দেওয়ার মামলায় আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একপর্যায়ে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তিনি জামিন পান।
বিবিসির খবরে বলা হয়, আদালত ফ্লোরিডায় ফিরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোয় নিজ সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি কড়া ভাষায় জো বাইডেন ও তার দল এবং বিচার সংশ্লিষ্ট সবার সমালোচনা করেন।
তিনি তার দোষ অস্বীকার করে বক্তব্যের শুরুতে বলেন, তার বিরোধীরা জাতিকে ধ্বংস করতে চায়।
প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় অভিসংশন করার বিষয়টির সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, একাধিক বিষয়ে তদন্ত করে তাকে আক্রমণ করা হয়েছে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি করে জো বাইডেন জয় পেয়েছেন বলে আবারও দাবি করে ট্রাম্প বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকে, ডেমোক্র্যাটসরা (জো বাইডেনের দল) আমার ক্যাম্পেইনের উপর নজরদারি চালিয়েছে। তারা আমার উপর তদন্তের হামলা চালিয়েছে।
এরপর নিউইয়র্কের ম্যানহাটন আদালতের জেলা অ্যাটর্নি আলভিন ব্রাগের কড়া সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। এই আলভিন ব্রাগই ট্রাম্পকে আদালত পর্যন্ত নিয়ে যেতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা করেছেন। অ্যাটর্নি ব্রাগকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেছেন, আলভিন ব্রাগ একজন ক্রিমিনাল। তার বিচার হওয়া উচিত অথবা তার পদত্যাগ করা উচিত।
ট্রাম্পের দাবি, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তথ্যগুলো মিডিয়ায় ফাঁস করেছেন ব্রাগ।
ট্রাম্প বলেন, জেলা অ্যাটর্নির অফিসের একটি ওয়েবপেইজও ছিল। যারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে এ সব করেছে তারা সেখানে বৈঠক করত।
এরপর ম্যানহাটন আদালতের বিচারক জুয়ান মার্চেনের সমালোচনা করেন ট্রাম্প বলেন, আমার একজন ট্রাম্প-ঘৃণাকারী বিচারক আছে, সঙ্গে আছে ট্রাম্প-ঘৃণাকারী স্ত্রী ও পরিবার।
ট্রাম্পের দাবি, বিচারক জুয়ান মার্চেনের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে টুইট করেছিলেন। অপরদিকে তার মেয়ে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের হয়ে কাজ করেছেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা খারাপ। আমাদের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রাশিয়া চীনের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন? সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। যদি আমি আপনাদের প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে এর কিছুই হতো না।
নিউ ইয়র্ক, জর্জিয়া এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে মামলার নেতৃত্বদানকারী প্রসিকিউটরদের নিন্দা করেন ট্রাম্প।
আরএ/
