পর্ন তারকাকে অর্থপ্রদানের মামলায় ট্রাম্প অভিযুক্ত

স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামে এক পর্ন তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ম্যানহ্যাটানের গ্র্যান্ড জুরি আদালতে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) এই তথ্য জানানো হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি অভিযোগ অভিযুক্ত। ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের নেতৃত্বে তদন্ত সম্পন্ন হওয়া পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গঠন করা হলো। ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন এই রিপাবলিকান নেতা। আর তার আগেই এমন অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন তিনি।
বিবিসি জনায়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এখনো জানা যায়নি, কারণ অভিযোগটি এখনো গোপন রাখা হয়েছে। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্প ব্যবসায়িক জালিয়াতি সম্পর্কিত ৩০ টিরও বেশি গণনার মুখোমুখি হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে, খুব তাড়াতাড়িই এক মার্কিন বিচারপতির আওতায় এই মামলা যাবে এবং এরপরই বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
ট্রাম্প অবশ্য বলছেন, তিনি ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিযোগিতা থেকে সরে না যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া তার পুনরায় নির্বাচনে জেতার সম্ভাবনাকে নষ্টের চেষ্টা করার জন্য ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট ব্র্যাগকে অভিযুক্ত করেছেন।
সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন ও নির্বাচনী হস্তক্ষেপ। তার দাবি, এর আগে কখনো এই পর্যায়ে রাজনৈতিক নিপীড়ন হয়নি এবং নির্বাচনী কাজে হস্তক্ষেপ ঘটানো হয়নি। যদিও ট্রাম্প তার সপক্ষে কোনো প্রমাণ বা যুক্তি কখনোই দেননি।
এর কিছুক্ষণ পরই, ট্রাম্প তার সমর্থকদের কাছে আইনি প্রতিরক্ষার জন্য অর্থ প্রদানের আবেদন করেন। নিজের প্রচারণা অনুসারে ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সংগ্রহ করেছেন।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখ বন্ধ রাখতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই পর্ন তারকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে অনৈতিকভাবে ওই অর্থ দেওয়া হয়।
এসএন
