শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ | ৮ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মার্কিন বিমান হামলায় ইয়েমেনে ১৬ হুথি সদস্য নিহত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ১৬ সদস্য নিহত হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে এই হামলার তথ্য জানিয়েছে হুথি গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বার্তাসংস্থা আনাদোলু তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।

হুথি গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন বিমান হামলায় তাদের ১৬ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে, সাবা নিউজ এজেন্সি হতাহতের সংখ্যা, সময় কিংবা হামলার সঠিক অবস্থান সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি।

এর আগে, ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও আশপাশের এলাকায় মার্কিন বিমান হামলায় সাতজন নারী ও দুই শিশু আহত হওয়ার খবর আসে। আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, আল-জাওফ প্রদেশের সাদা, আল-হাজম জেলা এবং আল-বায়দা প্রদেশের আস সাওয়াদিয়া জেলায় এসব হামলা হয়।

এরও আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, তিনি হুথি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বড় আক্রমণ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

হুথি গোষ্ঠীর তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত একাধিক মার্কিন বিমান হামলায় ৫৩ জন নিহত এবং ১০৭ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটিই ছিল ইয়েমেনে প্রথম মার্কিন বিমান হামলা।

Header Ad
Header Ad

জনগণের নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্ভব: মির্জা ফখরুল

বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত

জনগণের নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্ভব বলে মনে করছে বিএনপি। দলটি বলছে, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে।

তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

শনিবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

এতে দেশের চলমান পরিস্থিতি তুলে ধরে নির্বাচন, জাতীয় ঐক্য ও সংস্কার ইস্যু নিয়ে কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাবগুলোর সাংবিধানিক ও আইনগত ভিত্তি প্রদানের জন্য একটি নির্বাচিত সংসদই কেবল উপযুক্ত ফোরাম। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য এই দেশ ও দেশের মানুষের মূল চালিকাশক্তি। এই ঐক্য ও দেশকে এগিয়ে নিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।

এই ঐক্যকে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত করতে হবে। আমরা এমন কোন পদক্ষেপ নিতে পারি না যাতে এই ঐক্য বিনষ্ট হয়। সুতরাং অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখতে হবে। কোনো মহলকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন, জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা এবং জবাবদিহিতা ও আইনের শাসনের নিশ্চয়তা বিধান করা। সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করা। ‌‌‘নির্বাচন আগে সংস্কার পরে’ কিংবা ‘সংস্কার আগে নির্বাচন পরে’ এমন অনাবশ্যক বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। যেহেতু সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, সংস্কার এবং নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে একটি চার্টার অব রিফর্ম-সংস্কার সনদ তৈরি হতেই পারে।

নির্বাচিত সরকার পরবর্তীতে তা বাস্তবায়ন করবে। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের করণীয় হল একটি সুষ্ঠু অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত একটি অবাধ নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। নির্বাচিত সরকার জনগণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার সমূহ সম্পন্ন করবে। জনগণের নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্ভব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোন কোন উপদেষ্টা ক্ষমতায় থেকে রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ/পরোক্ষভাবে জড়িত থাকায় জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করার নানা প্রকার লক্ষণ ও প্রমাণ ক্রমেই প্রকাশ পাচ্ছে যা দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।

তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো যে বিষয়গুলো প্রস্তবাকারে আসতে পারতো তা প্রস্তাব না রেখে প্রশ্ন আকারে হ্যাঁ, না, উত্তর দিতে বলা হয়েছে। যেমন, প্রস্তাবগুলো গণপরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন চাই কি না? হ্যাঁ অথবা না বলুন। কিন্তু প্রথমে সিদ্ধান্ত আসতে হবে যে, গণপরিষদের প্রস্তাবে আমরা একমত কিনা? একইভাবে 'গণভোট', 'গণপরিষদ এবং আইন সভা' হিসাবে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন চাই কিনা ইত্যাদি হ্যাঁ না বলুন। সংবিধানের 'প্রস্তাবনার' মত অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশে থাকলেও তা স্প্রেডশিটে উল্লেখ করা হয়নি। স্প্রেডশিটে ৭০টির মত প্রস্তাব উল্লেখ করা হলেও মূল প্রতিবেদনে সুপারিশ সংখ্যা প্রায় ১২৩টির মত। একইভাবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মূল প্রতিবেদনে ১৫০টির মত সুপারিশ তুলে ধরা হলেও স্প্রেডশিটে মাত্র ২৭টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে অধিকাংশই সংবিধান সংস্কারের সাথে সংশ্লিষ্ট। তাই আমরা মনে করছি— স্প্রেডশিটের সাথে মূল সুপারিশমালার ওপর আমাদের মতামত সংযুক্ত করে দিলে বিভ্রান্তি এড়ানো যাবে।

তিনি আরো বলেন, সুপারিশমালা সমূহ পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে এতে ভবিষ্যতে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে নিয়োগের অযৌক্তিক প্রচেষ্টা রয়েছে যা অনভিপ্রেত। সুপারিশমালায় সাংবিধানিক কমিশনসহ (এনসিসি) নতুন নতুন বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সমস্ত কমিশনের এখতিয়ার, কর্মকাণ্ডের যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে যতটা সম্ভব অবমূল্যায়ন করা এবং ক্ষমতাহীন করাই উদ্দেশ্য, যার ফলশ্রুতিতে একটি দুর্বল ও প্রায় অকার্যকর সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র, জনগণের মালিকানার প্রতিফলন হয় নির্বাচিত সংসদ এবং জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে। কিন্তু সংবিধান ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ সমূহ পর্যালোচনা করলে প্রতীয়মান হয় যে, রাজনীতিবিদরা অপাংতেয় এবং অনির্বাচিত লোকদেরই দেশ পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি করাই শ্রেয়। জনগণের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য, কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি ও ধর্মবোধ এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়েই বিভিন্ন সংস্কার ও সাংবিধানিক সংশোধনী প্রণীত হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে মনে করছে বিএনপি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যকে সমুন্নত রেখে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সময়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। বৃহত্তর জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সকল সংস্কার প্রচেষ্টা পরিচালিত হবে এটাই জাতীয় প্রত্যাশা।

Header Ad
Header Ad

ফিল্মফেয়ারে ‘ভুল’ ইংরেজি বলে তোপের মুখে শ্রাবন্তী

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফিল্মফেয়ার। সেখানে হাজির ছিলেন বাংলার উজ্জ্বল তারকারা। গ্ল্যামারাস লুকে রেড কার্পেটে ধরা দেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও। কিন্তু সেখানে তাঁর দেওয়া ছোট্ট সাক্ষাৎকারটাই এখন ভাইরাল। নেটিজেনদের মতে অভিনেত্রীর ইংরেজি নাকি দুর্বল। চলছে ট্রলের বন্যা।

যা ঘটেছে....
এদিন যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সাংবাদিক শ্রাবন্তীকে ইংরেজিতেই বলছেন, ‘ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বাংলায় স্বাগত আপনাকে। আপনাকে খুব মিষ্টি লাগছে। কোন মুহূর্তের জন্য আপনি মুখিয়ে রয়েছেন?' এই প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘মাই ফ্রেন্ডস আর পারফর্মিং সুপার এক্সাইটেড।’ অর্থাৎ আমার বন্ধুরা আজ পারফর্ম করবে, তাই আমি দারুণ উচ্ছ্বসিত। এরপর যখন তাঁর থেকে জানতে চাওয়া হয় যে তিনি কোনও নির্দিষ্ট একটা পারফরমেন্সের জন্য অপেক্ষা করছেন কী? পর্দার হবু দেবী চৌধুরানী জানিয়ে দেন তিনি শুভশ্রীর পারফরমেন্সের জন্য মুখিয়ে আছেন।

গ্ল্যামারাস লুকে রেড কার্পেটে ধরা দেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

এরপরই শ্রাবন্তীকে জিজ্ঞেস করা হয়, কোনও একজন নির্দিষ্ট অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে যদি সমর্থন করতে হয় তাহলে সেটা কে হবেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘সবাই আমার খুব ভালো বন্ধু। তো আমি চাই ওরা সবাই যেন ওই ব্ল্যাক লেডিকে নিয়ে যেতে পারে। দেখা যাক।’

বর্তমানে এই ভিডিয়ো ভাইরাল। নেটিজেনরা মশকরা করছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, ‘বাংলায় জিজ্ঞেস করলেই তো হতো, এত ভয় পেত না’
আরেকজন লেখেন, ‘বাংলায় বলার সময় ইংলিশে বলার মতো স্টাইল মেরে বলে আর ইংলিশে বলার সময় এলে বাংলায় বিড়বিড় করে।’

আরেকজনের মতে,‘ইংলিশে কথা বলতে হবে ভেবেই হয়তো এত নার্ভাস। চতুর্থ জনের মতে, ‘রুটিং ফর কথাটার অর্থ বোঝেনি।’ আরেক ব্যাক্তি লেখেন, ‘এত খারাপ ইংরেজি কে বলে?’

 যদিও অনেকে আবার শ্রাবন্তীকে সমর্থন করেছেন। একজন লেখেন, 'ইংরেজিকে কবে থেকে আমরা কেবল একটি বিদেশি ভাষা হিসেবে ধরব, কোনও বোদ্ধা হওয়ার স্ট্যান্ডার্ড নয়।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'ইংরেজি না জানা বা তাতে দুর্বল হওয়া কোনও অপরাধ নয়।' তৃতীয় জন লেখেন, 'ভুলটা কী বলল? সেটাই তো খুঁজে পাচ্ছি না।'

 

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখ অভিবাসীর বৈধতা বাতিল করল ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর বৈধতা বাতিল করতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটিতে বসবাসরত কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলার এসব বৈধ অভিবাসীকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

স্থানীয় সময় শুক্রবার মার্কিন ফেডারেল রেজিস্ট্রারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে অনুমোদিত দুই বছরের ‘প্যারোল’ (সাময়িক প্রবেশাধিকার) প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাবে। স্থানীয় স্পনসর থাকা সাপেক্ষে ওই কর্মসূচির আওতায় এসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন।

রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত ট্রাম্প অভিবাসননীতিতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের রেকর্ড সংখ্যায় নির্বাসনে পাঠানোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার দাবি, ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে নির্বাচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চালু করা এসব প্যারোল কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করেছে। এ জন্য তিনি ২০ জানুয়ারির এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এসব কর্মসূচি বাতিলের নির্দেশ দেন।

গত ৬ মার্চ ট্রাম্প জানান, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার ইউক্রেনীয়র প্যারোল মর্যাদা বাতিল করা হবে কিনা, সে বিষয়েও তিনি শিগগির সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে, রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প প্রশাসন এই মর্যাদা এপ্রিলের মধ্যেই প্রত্যাহার করার পরিকল্পনা করছে।

বাইডেন ২০২২ সালে ভেনেজুয়েলাবাসীদের জন্য প্যারোল প্রবেশাধিকার চালু করেছিলেন এবং ২০২৩ সালে তা কিউবা, হাইতি ও নিকারাগুয়ায়ও সম্প্রসারিত হয়। তার প্রশাসন এসব দেশের অভিবাসীদের উচ্চমাত্রার অবৈধ প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা করছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চার দেশের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তপ্ত ছিল।

অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে বাইডেন প্রশাসন নতুন কিছু আইনি পথ চালু করেছিল, যার মধ্যে সীমান্ত পারাপারে কড়াকড়িও ছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে প্যারোল সুবিধাভোগী প্রায় ৫ লাখ অভিবাসী এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে চাইলে নির্বাসনের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তবে তাদের মধ্যে কারা ইতোমধ্যে অন্য কোনো আইনি মর্যাদা পেয়েছেন বা সুরক্ষা লাভ করেছেন, তা স্পষ্ট নয়।

সোমবার ফেডারেল রেজিস্ট্রারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের জন্য নির্ধারিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্যারোল মর্যাদা বাতিলের ফলে এসব অভিবাসীকে দ্রুত নির্বাসনের আওতায় আনা সহজ হবে।

গত জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছরের কম সময় ধরে বসবাসরত নির্দিষ্ট কিছু অভিবাসীর ক্ষেত্রে দ্রুত নির্বাসন (এক্সপেডাইটেড রিমুভাল) প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা যেতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জনগণের নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই গ্রহণযোগ্য সংস্কার সম্ভব: মির্জা ফখরুল
ফিল্মফেয়ারে ‘ভুল’ ইংরেজি বলে তোপের মুখে শ্রাবন্তী
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ৫ লাখ অভিবাসীর বৈধতা বাতিল করল ট্রাম্প
মেসিকে ছাড়াই উরুগুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপের পথে আর্জেন্টিনা
গাজীপুরে কারখানা অনির্দিষ্টকাল বন্ধ, প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বারিধারায় চলছে বাড়ির সংস্কার, শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান    
গণঅভ্যুত্থানে সামরিক বাহিনী পাশে না দাঁড়ালে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হতো: নুর    
সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের ঘোষণা সেনাবাহিনীর  
আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে আমার সাথে আলোচনা হয়নি : সোহেল তাজ
দুপুরের মধ্যে তিন বিভাগে কালবৈশাখী আঘাত হানবে  
গাজার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালও ধ্বংস করে দিল ইসরায়েল  
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ: নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ
শেখ হাসিনার মতো নব্য ফ্যাসিবাদীরা জাতীয় পার্টিকে ব্ল্যাকমেইল করছে: জি এম কাদের
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের মিছিল, যুবলীগ নেত্রীসহ আটক ৩
তাসকিনের আইপিএল অভিষেকের সম্ভাবনা, যোগাযোগে মিলেছে ইতিবাচক সাড়া!
স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসনের সুযোগ পায়, এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না: তারেক রহমান
ট্রেনের ১৩০ টিকিটসহ নৌবাহিনী কর্মচারী আটক
জনগণ সুযোগ দিলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিএনপির কিছু বলার নেই: রিজভী
বিচারের আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ নেই : মামুনুল হক