বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১০ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভাসমান নৌকায় মিলল ৩০ জনের পচা-গলা মরদেহ

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগালে একটি নৌকা থেকে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির উপকূলীয় এলাকায় ভাসমান একটি নৌকায় মরদেহগুলো পচা-গলা অবস্থায় পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল উপকূলে নৌকা থেকে ৩০ জনের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নৌকাটি উপকূলীয় এলাকায় ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দেশটিতে উন্নত জীবনের আশায় উপকূলীয় এলাকা থেকে অভিবাসীদের বিপজ্জনকভাবে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সেনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেনেগালের রাজধানী ডাকার থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে একটি ভাসমান নৌযানের বিষয়ে নৌবাহিনীকে জানানো হয়েছিল। সোমবার তারা এটিকে বন্দরে নিয়ে এসেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মরদেহগুলোতে অতিমাত্রায় পচন ধরেছে। ফলে এগুলো উদ্ধার, পরিচয় শনাক্ত ও স্থানান্তর কার্যক্রম অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে করা হচ্ছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পচনশীল মরদেহগুলোর ওপর ভিত্তি করে ধারণা করা হচ্ছে, তারা অনেকদিন ধরে আটলান্টিক মহাসাগরে ভেসে ছিলেন। নৌকাটি কখন কোথা থেকে যাত্রা শুরু করেছিল এবং তাতে কতজন যাত্রী ছিল তা নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে।

এর আগে হত আগস্টে ডোমিনিকা উপকূলে অন্তত ১৪টি মরদেহ পচনশীল অবস্থায় পাওয়া যায়। এসব ব্যক্তিরা সেনেগালের অভিবাসী বলে ধারণা করা হয়েছিল।

এদিকে গত আগস্টে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলায় ১০ বছরের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে সেনেগাল সরকার। এ ছাড়া দেশটির কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নৌকায় যাত্রা করা শত শত অভিবাসীকে আটক করেছে।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেনেগাল হয়ে পশ্চিম আফ্রিকা ছাড়তে চাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ তালিকায় থাকা বেশিরভাগ অভিবাসী যুবক বয়সের। সংঘাত, দারিদ্র্য এবং বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেতে তারা সমুদ্রপথে স্প্যানিশ দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকে। চলতি বছরে এ এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার অভিবাসী আগমন করেছেন।

স্পেনই ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে বেশি অভিবাসী গ্রহণ করে থাকে। দেশটিতে পৌঁছাতে ভূমধ্যসাগরের পথটি অভিবাসীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছাতে পশ্চিম আফ্রিকান অভিবাসীরা আটলান্টিক মহাসাগরের পথ বেছে নেন।

Header Ad

বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে, আশা জয়শঙ্করের

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে এশিয়া সোসাইটি ও এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘ভারত, এশিয়া ও বিশ্ব’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

তার দাবি, ভারত প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক বিষয় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় না।

জয়শঙ্কর বলেন, সম্পর্ক নিয়ে আগাম কোনো ধারণায় উপনীত না হওয়ার অনুরোধ করব সবাইকে। বিষয়টা এমন নয় যে, ভারত তার সব প্রতিবেশী দেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। এভাবে চলেও না। এমনটা হয়ও না। এভাবে শুধু আমরা (ভারত) না, কেউই কিছু অর্জন করতে পারে না।

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে নিঃশর্তে সহায়তা করেছে ভারত। সম্প্রতি দুই দেশে সরকার পরিবর্তনের বিষয়টি নয়াদিল্লির জন্য বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে- এমন মন্তব্যের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জয়শঙ্কর বলেন, দিন শেষে প্রতিটি প্রতিবেশীর নিজস্বতা থাকে। আমরা তাদের বলব না যে তোমাদের প্রবাহ আমাদের পছন্দ অনুযায়ী হোক। তেমন বলা আমাদের ইচ্ছাও নয়। আজকের দুনিয়ায় এটাই সত্য। প্রতিটি দেশই নিজের পছন্দ অনুযায়ী নীতি ঠিক করে। অন্যদের সেই মতো বোঝাপড়া করতে হয়। সেইভাবে এগোতে হয়।

এ প্রসঙ্গেই বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির কথা ওঠে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্যদের থেকে বাংলাদেশের বিষয়টি একটু আলাদা। গত এক দশকে আমরা এমন কিছু প্রকল্পে কাজ করেছি যা উভয় দেশের জন্যই মঙ্গলজনক। সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেড়েছে। এ অঞ্চলের লজিসটিক খাতের উন্নয়ন হয়েছে।

জয়শঙ্কর এ কথা বলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের পর। বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সূত্রগুলো ওই বৈঠককে কার্যকর, ইতিবাচক ও গঠনমূলক হিসেবে বর্ণনা করেছে।

জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিটি দেশ তাদের নিজেদের ভাবনা অনুযায়ী চলে। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আপনাকে যেকোনো বিষয় জেনেবুঝে সে অনুযায়ী সাড়া দিতে হবে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে সবকিছুর শেষে আমরা অনুধাবন করব যে, প্রতিবেশী হিসেবে আমরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এক দেশ অপর দেশের উপকারে আসতে পারে। এতেই সবার স্বার্থ নিহিত। বাস্তবিকতাই সম্পর্কের গতিপ্রকৃতি ঠিক করে দেয়। ইতিহাসের শিক্ষা তেমনই।

ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৫৪ জন

ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ৮৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৫৫৫ জন। এসময় নতুন করে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৮ জনে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ৩৫৫ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ২১০ জন, বরিশালে ৫৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, খুলনায় ৬৪ জন ময়মনসিংহে ৩৫ জন ও রাজশাহীতে ২৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২৬ হাজার ৫৫৫ জন। যাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী।

১ জানুয়ারি থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৃত ১৩৮ জনের মধ্যে ৫২ দশমিক ২ শতাংশ নারী এবং ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ।

সোনার দাম আরও বাড়ল, ভরি এখন ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩ হাজার ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, সবশেষ গত ২৪ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৬১৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ২৯ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯১ হাজার ৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে আজ ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৪১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১৬ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। বাজারে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৮৩ টাকায়।

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে, আশা জয়শঙ্করের
ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৫৪ জন
সোনার দাম আরও বাড়ল, ভরি এখন ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা
চবির সাবেক ভিসি শিরিন আখতারের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অবৈধ নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত শুরু
সাকিবকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে যা বললেন আসিফ নজরুল
প্রেমিকা মিথ্যা বলছে নাকি ধরবেন যে কৌশলে
জয়পুরহাট রেলের জমি দখল করে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে চাকরির সুযোগ, নেবে ৩৬৯ জন
সাবেক এমপি এমএ আউয়াল গ্রেপ্তার
সরকারি বরাদ্দ বিতরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে : পার্বত্য উপদেষ্টা
দেশে তিন মাসে কোটিপতি বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার
ভোটার তালিকা প্রস্তুত হলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
গাজীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের ছায়া
শেখ হাসিনার দেশে ফেরা তার ওপরই নির্ভর করছে: জয়
কক্সবাজারে সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যায় জড়িত ৬ সন্ত্রাসী আটক
খুব শিগগিরই আমাকে বড় পর্দায় দেখা যাবে: তানজিন তিশা
বৈরুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ কমান্ডার নিহত
পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
বিএসএমএমইউতে সচেতন শিক্ষক-ছাত্র-কর্মচারী ঐক্য কমিটি গঠন
গুজবের বেড়াজালে আওয়ামী লীগ, দিশেহারা নেতাকর্মীরা