বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গোপসাগরে বিমান ঘাঁটি তৈরির চক্রান্ত নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে বিমান ঘাঁটি তৈরি এবং বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অংশ নিয়ে একটি খ্রিস্টান দেশ বানানোর চক্রান্তের বিষয়ে সাম্প্রতিক সময়ে যে অভিযোগ সামনে এসেছে তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (৪ জুন) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগের বিষয়টি সামনে এনে প্রশ্ন করা হয় মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারকে।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি দাবি করেছেন, একজন শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন— তিনি কোনো চাপ ছাড়াই ক্ষমতায় থাকতে পারবেন যদি তিনি একটি বিদেশি দেশকে বঙ্গোপসাগরে বিমানঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিস্টান দেশ বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। শেখ হাসিনা কী এসব অভিযোগের তীর যুক্তরাষ্ট্রের দিকেই ছুড়ছেন? কারণ, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন, আইনের শাসন এবং দুর্নীতি দমন নিয়ে অব্যাহতভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছে।

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এ মুখপাত্র বলেন, আমি ঠিক নিশ্চিত নই যে এই মন্তব্যগুলো কাকে উদ্দেশ্য করে করা হয়েছে। কিন্তু যদি এসব কথা প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, তাহলে আমি শুধু বলব, এগুলো সঠিক নয়।

এ ছাড়া ম্যাথিউ মিলারের কাছে ড. ইউনূস প্রসঙ্গেও প্রশ্ন রাখেন ওই সাংবাদিক। তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গত রোববার আদালত কক্ষের ভেতরে আসামিদের জন্য নির্ধারিত অন্ধকার ও লোহার খাঁচার মতো বেষ্টনীর মধ্যে প্রবেশ করে করানো হয় এবং এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ড. ইউনূস বলেছেন, তিনি তার অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছেন। একইভাবে, গণতন্ত্র, আইনের শাসনের অনুপস্থিতি এবং ব্যাপক দুর্নীতির কারণে লাখ লাখ বাংলাদেশি তাদের অভিশপ্ত জীবনের সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছে।

আমরা দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশ প্রধানের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। আপনি কি মনে করেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর সরকারকে জবাবদিহি করার জন্য এসব পদক্ষেপই যথেষ্ট, নাকি আপনি অতীতের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক-গণতন্ত্রপ্রেমী জনগণের সাথে সংহতি প্রদর্শনের জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করবেন?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ড. ইউনূসকে হয়রানি এবং হুমকি প্রদর্শনের জন্য শ্রম আইনের অপব্যবহার হতে পারে বলে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এর ফলে বাংলাদেশে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগে বাধা আসতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র আরও বলেন, বিচার প্রক্রিয়া চলতে থাকায় আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ড. ইউনূসের বিষয়ে ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে উৎসাহিত করতে থাকব, কিন্তু নিষেধাজ্ঞা বা বিধি-নিষেধ আরোপ নিয়ে আগাম বলার মতো কোনও তথ্য আমার কাছে নেই।

Header Ad
Header Ad

রামুর স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত, টাকা ছিনতাই

ছিনতাইয়ের শিকার স্টেশন মাস্টার আক্তার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে রামু রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করে ৫০ হাজার টাকার বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত স্টেশন মাস্টারের নাম আক্তার হোসেন।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে চকরিয়া উপজেলার শাহাবিল স্টেশন থেকে বদরখালী যাওয়ার পথে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার আইকনিক রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার গোলাম রাব্বানী জানান, আক্তার হোসেন তার বোন জামাইয়ের টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওই সময় ইলিশিয়া লম্বা রাস্তায় তার গাড়ি থামিয়ে একদল ছিনতাইকারী তাকে ছুরিকাঘাত করে এবং তার কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন, পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর অবশেষে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Header Ad
Header Ad

চলমান সংকট নিরসনে রাজনৈতিক সরকার জরুরি: আবদুল আউয়াল মিন্টু

আবদুল আউয়াল মিন্টু। ছবি: সংগৃহীত

দেশের চলমান সংকট নিরসনে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার বলে মতামত জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সাবেক সভাপতি ও বিএনপির রাজনীতিবিদ আবদুল আউয়াল মিন্টু্।

সম্প্রতি প্রকাশিত এক মতামতে তিনি জানান, দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নেই। শিল্পের সক্ষমতা কমার পাশাপাশি অর্থনীতি স্থবির ও সংকটের দিকে যাচ্ছে। ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে, একের পর এক শিল্পকারখানা বন্ধ হচ্ছে।

তিনি বলেন, উৎপাদন খাতের সংকট কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছে না। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সরকার শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়াতে চায়। দুই বছর আগে শিল্পে গ্যাসের দাম ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। গত বছরও কিছুটা দাম বাড়ানো হয়। কিন্তু দুই বছর পরও শিল্পে গ্যাস সংকট কাটেনি। সরবরাহ বাড়ানোর কথা বলে গ্যাসের আবারও আড়াই গুণ দাম বাড়াতে চায় সরকার। এতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিল্পকারখানায় দুই ধরনের গ্যাস সংযোগ আছে। একটি হলো কারখানার বয়লার চালাতে নেওয়া হয়। আর বড় কারখানায় নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ক্যাপটিভ সংযোগ। দুটি সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম এখন একই। পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পুরোনো গ্রাহকের ক্ষেত্রে অনুমোদিত লোডের বাড়তি ব্যবহৃত গ্যাসের বিল হবে নতুন দামে। যেসব শিল্পকারখানা নতুন সংযোগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদিত লোডের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আগের দাম দিতে হবে। এর বাইরে বাকিটুকুর জন্য নতুন দাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, এদিকে ডলারের দর বৃদ্ধির ফলে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করতে পারছেন না উদ্যোক্তারা। ফলে পণ্যের মূল্য বাড়ছে। প্রভাব পড়েছে বাজারে। এতে শিল্পের স্থবিরতার পাশাপাশি সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে।

তিনি বলেন, আর মূল্যস্ফীতি কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ানোর ফলে এরই মধ্যে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এতে শ্রমিকরা তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে না পারায় তাঁরাও বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে মাঠে নামছেন। এতে নিয়মিত শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ভোক্তার নাগালে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে কঠিন।

তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় শিল্পের ইউটিলিটি চার্জ না বাড়িয়ে সংকট উত্তরণে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর জরুরি। তাই দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার।

Header Ad
Header Ad

আচরণ ঠিক করতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে পুলিশ

ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাদ আলী। ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের সদস্যরা গত ১৫ বছর নগরবাসীর সঙ্গে যেমন আচরণ করেছেন সেই আচরণ থেকে তারা বের হতে চায়। এজন্য প্রতিটি সদস্য নতুন করে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সাজ্জাদ আলী।

আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে সদস্যরা যেমন আচরণ করেছে সেই আচরণ থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাই।সেই জন্য সময়ের প্রয়োজন। আমার সব কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।’

পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিএমপির ৪০ হাজার পুলিশ সদস্যকে হঠাৎ করে পরিবর্তন সম্ভব না। তাই আমরা প্রশিক্ষণ শুরু করছি।কোথায় কী পরিমাণ বলপ্রয়োগ করতে হবে, সেই বিষয় আমরা দৃষ্টি রাখছি। যার প্রমাণ ইতোমধ্যে আপনারা পেয়েছেন। ঢাকাবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। সেই জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
'
কমিশনার বলেন, ‘গত বছর ৫ আগস্টের পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে পড়ার ফলে তাৎক্ষণিক কিছু সমস্যা আছে, সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। পুলিশবিহীন একটি সমাজ কেমন হতে পারে, ৫ আগস্টের পর আমরা দেখেছি। চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে যায়। তবে গত পাঁচ মাসে ওইসব অপরাধ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রামুর স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত, টাকা ছিনতাই
চলমান সংকট নিরসনে রাজনৈতিক সরকার জরুরি: আবদুল আউয়াল মিন্টু
আচরণ ঠিক করতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে পুলিশ
ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ
বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন, পুলিশের বাধা
কানাডায় নিখোঁজের একমাস পর মিলল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর লাশ
নিষিদ্ধ হলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র
নওগাঁয় এক হালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকায়, বিপাকে কৃষকরা
যুবদল নেতার সাহায্যে ভারতে পালান ওবায়দুল কাদের!
ইন্টারপোলের আদলে ‘ভারতপোল’ চালু করল ভারত
সরকারি স্কুলের পাশেই ইটভাটা, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
দ্বিগুন হলো মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনকারীদের কর
১০০ টাকার রিচার্জে কর দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা!  
বিকেলে লন্ডন পৌঁছবেন খালেদা জিয়া  
দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস, নিয়ন্ত্রনের উপায়ন্তরেও লাভ হচ্ছে না  
আসছে মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ, ফের শীতে কাঁপবে দেশ  
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের ৫ শহর
বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে উত্তেজনা, বিজিবির সতর্ক অবস্থান  
খালেদা জিয়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে গেছেন: মির্জা ফখরুল  
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক