এক দিনে গাজায় নিহত ১০০ জন
ছবি সংগৃহিত
গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ যুদ্ধে প্রতিদিনই শত শত মানুষ নিহত হচ্ছেন। যে সংখ্যা এখন ২০ হাজার অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় একদিনে প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনির প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দখলদার বাহিনীর অব্যাহত বোমা হামলায় এই নিহতের ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া আহত হয়েছে শত শত ফিলিস্তিনি।
এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। সিটিও পিছিয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েল দাবি করেছে তারা উত্তর গাজা উপত্যকার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেখানে হামাসকে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৯ হাজার ৬৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতের পাশাপাশি গাজায় আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫২ হাজারের বেশি।এদিকে চলমান ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার পানি সরবরাহব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। পানি কিংবা পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থার সংকট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। বেসরকারি সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের সদস্য রিকার্ডো মার্টিনেজ যুদ্ধের মধ্যে চার সপ্তাহ গাজায় ছিলেন। ত্রাণসহায়তাকারী সংস্থার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই শঙ্কার কথা বলেন।
রিকার্ডো মার্টিনেজ বলেন, গাজায় লোকজনকে সীমাবদ্ধতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য তাদের লড়াই করতে হচ্ছে। লোকজন সর্বোচ্চ এক লিটার পানি পাচ্ছে, যা পান করার পাশাপাশি ধোয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করতে হয়। পানি ছাড়াও গাজার কোনো কোনো জায়গায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ নেই, যা বাসিন্দাদের টিকে থাকার চ্যালেঞ্জকে আরও জটিল করে তুলছে।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলছেন, তার দেশ জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে দ্বিতীয় দফায় মানবিক যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ইসমাইল হানিয়া যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি বিনিময় আলোচনার জন্য বুধবার মিশরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণ গাজায় রাফাহ শহরে গোলাবর্ষণের ফলে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। আল-শাবোরা থেকে আহতরা খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে আসতে শুরু করেছেন।