সংসদ সদস্যের বাড়ি থেকে ২৯০ কোটি টাকা উদ্ধার
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর বাড়িতে ও অফিসে আয়কর দপ্তরের তল্লাশি চালিয়ে বিপুল অর্থ পাওয়া গেছে। চলতি সপ্তাহের বুধবার কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার বাড়িতে হানা দেয় আয়কর দফতর। তল্লাশির প্রথম দিনেই আলমারি ও বাক্স থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বান্ডিল বান্ডিল টাকা।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালেও বস্তা বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয় কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে। শনিবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ২৯০ কোটি পার করেছে। সূত্র বলছে, শনিবার সকালেও বস্তা বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে। বান্টি সাহু নামে সাংসদের এক ঘনিষ্ঠ সহকারীর বাড়ি থেকেও এখনও অবধি ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। আগে উদ্ধার হ আরও ৯ বস্তা টাকা গোনাও এখনো বাকি।
আয়কর আধিকারিকরা বলছে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি যে আয়কর আধিকারিকদের আনা টাকা গোনার মেশিনও বিকল হয়ে যাচ্ছে। প্রতিবেশী রাজ্য থেকে টাকা গোনার মেশিন জোগাড়ের চেষ্টা করছে আয়কর দফতর।আপাতত স্থানীয় ব্যাংকগুলি থেকে মেশিন এনে চলছে রুপি গোনার কাজ।
ধারণা করা হচ্ছে উদ্ধার হওয়া নগদ অর্থের পরিমাণ ৪০০ কোটি রুপি ছাড়াতে পারে। এদিকে শনিবার আবার সংসদের ঝাড়খণ্ডের বোকারো ও রাঁচিতে এবং ওড়িশার সম্বলপুর ও সুন্দরগরের বাড়ি ও অফিসে নতুন করে তল্লাশি শুরু করেছে আয়কর দপ্তর। সূত্রের খবর সেখানেও উদ্ধার হয়েছে বিপুল অর্থ। কর্মকর্তারা জানিয়েছে, এখনও আরও তিনটি জায়গার সাতটি ঘর ও ন'টি লকার চেক করা হয়নি। সেখান থেকে টাকা উদ্ধার হতে পারে বলে অনুমান করছে আয়কর দফতর। শুধু টাকা নয় গহনাও উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আয়কর দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ওড়িশার একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা ও তার সঙ্গে যুক্ত নানা দোকানে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির সূত্র ধরেই এই অভিযান চালানো হয়।ঝাড়খণ্ডের সাংসদ ধীরজ সাহু এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে অভিযোগ। আয়কর দপ্তর জানায় দীর্ঘ এই অভিযান চলাকালীন সাংসদ ও তাঁর অফিস কর্মীরা টাকার উৎস জানাতে পারেননি। ওই টাকার জন্য সাংসদ আয়কর জমা দেননি। উৎস উল্লেখ না করায় সরকারিভাবে ওই অর্থ কালো টাকা হিসাবে গণ্য হবে।
পেশায় শিল্পপতি ধীরাজ বৌধ ডিস্টিলারিজ নামক একটি সংস্থা ও তার শাখা সংগঠন বলদেব সাহু ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড সহ একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর। এই কোম্পানির আর্থিক বেনিয়মের সূত্র ধরেই আয়কর আধিকারিকরা অভিযান চালায়। সেখানেই ধীরজ সাহুর নাম উঠে আসে।
পারিবারিক ভাবে কংগ্রেসী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ধুরাজ ১৯৭৭ সালে সরাসরি কংগ্রেসী রাজনীতিতে যোগ দেন। ২০১০ সাল থেকে ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পদে রয়েছেন ধীরজ সাহু।
এদিকে টাকা উদ্ধারের কথা জানার পরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি লেখেন,, “দেশবাসীর এই টাকার বান্ডিল দেখা উচিত এবং এই নেতাদের সত্য ভাষণ শোনা উচিত। জনগণের কাছ থেকে যা কিছু লুট করা হয়েছে, প্রত্যেকটা পয়সা ফেরত আসবে। এটাই মোদীর গ্যারান্টি।”