পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
ছবি : সংগৃহীত
নানা ঘটনার পর পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেছে। এবারের নির্বাচনের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হয়তো কারাগারেই থাকতে হবে। তবে তার দল নির্বাচনে অংশ নিবে।
অন্যদিকে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দলের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। পাকিস্তানে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতের দায় রয়েছে বর্তমান কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের।
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই অনিশ্চয়তায় পাকিস্তান। সংবিধান অনুযায়ী নভেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের কথা থাকলেও নানা কারণ দেখিয়ে কালক্ষেপণ করে আসছে নির্বাচন কমিশন। তবে এবার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দেশটির নির্বাচন কমিশন ভোটের তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই ভোট হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।- খবর আলজাজিরার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত ৯ আগস্ট শাহবাজ শরিফের পিএমএল (এন) জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়লে পার্লামেন্ট ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এরপর থেকে দেশ পরিচালনা করছে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদ ভাঙার ৯০ দিনের ভেতর নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। সে হিসাবে চলতি নভেম্বর মাসেই দেশের নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা ছিল নির্বাচন কমিশনের। তবে কমিশন বলছে, সবশেষ জনশুমারি অনুযায়ী সংসদীয় এলাকা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচনে গেলে তাদের অন্তত চার মাস সময় লাগবে।
পাকিস্তানে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতের দায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের। এই ম্যান্ডেট নিয়েই গত আগস্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। তবে প্রধান বিরোধী নেতা ও পিটিআইপ্রধান ইমরান খানকে কারাগারে বন্দি রাখার পাশাপাশি দলটির নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত থাকায় আনোয়ার আদৌ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে।