বুরকিনা ফাসোতে সামরিক পোস্টে হামলায় ৩৩ সেনা নিহত
বুরকিনা ফাসোতে সামরিক পোস্টে ভয়াবহ হামলায় ৩৩ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশের পূর্বাঞ্চলে হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বুরকিনা ফাসোর সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকারের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বুরকিনা ফাসোর পূর্বাঞ্চলে একটি বিচ্ছিন্ন সামরিক পোস্টে হামলায় ৩৩ জন সেনাসদস্য নিহত। আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। দেশটির সামরিক নেতৃত্বাধীন সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো জিহাদি বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিয়োজিত রয়েছে এবং বৃহস্পতিবারের ওই হামলা ও প্রাণহানি দেশটিতে সেই সহিংসতারই সর্বশেষ ঘটনা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বুরকিনা ফাসোর এস্ট অঞ্চলের ওগারউ-এর সামরিক পোস্ট লক্ষ্য করে এই হামলাটি চালানো হয়। অবশ্য হামলার শিকার অবরুদ্ধ সৈন্যরা কমপক্ষে ৪০ জন ‘সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করেছে বলে সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে।
সামরিক সরকার বৃহস্পতিবার সেই হামলার নিন্দা করেছে এবং ঘটনা তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে।
২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলায় বিপর্যস্ত বুরকিনা ফাসো। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগই জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা ও আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ত। এসব সহিংসতায় প্রতি বছর হাজার হাজার বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, নাইজার ও মালির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে কয়েক মিলিয়ন সাধারণ মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন।
এরই মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বিরোধী অভিযানের সময় নির্বিচারে বেসামরিক লোকদের হত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, গত সপ্তাহে উত্তর বুরকিনা ফাসোর একটি গ্রামে সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরিহিত ব্যক্তিরা অন্তত ১৫০ জনকে হত্যা করেছে।
এসএন