ইসি গঠনে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে ঐতিহাসিক রায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টের। এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত একটি কমিটি মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। পরে রাষ্ট্রপতি সেটা অনুমোদন করে নিয়োগ সম্পূর্ণ করবেন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের (২ মার্চ) বিচারপতি কেএম জোসেফের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
বিচারপতি কেএম জোসেফ ছাড়াও অজয় রাস্তোগি, অনিরুদ্ধ বসু, হৃষীকেশ রায় এবং সিটি রবিকুমারের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, নির্বাচন অবশ্যই স্বচ্ছ হওয়া উচিত। স্বচ্ছ নির্বাচন না হলে, গণতন্ত্র ভেঙে পড়তে পারে। আর এটা নিশ্চিত করতেই প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন শীর্ষ আদালত।
সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, লোকসভায় যদি কোনো বিরোধী দলনেতা না থাকেন তাহলে যিনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা তিনি এই কমিটিতে থাকবেন।
এতদিন প্রধানমন্ত্রী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নাম প্রস্তাব করলে তাতে সম্মতি দিতেন রাষ্ট্রপতি। তাদের কার্যকালের মেয়াদ থাকে ৬ বছর। সাধারণ সাবেক আমলাদের এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এ নিয়ে বরাবরই বিরোধী দলগুলোর দাবি থাকে, সরকারের ঘনিষ্ঠ আমলাদের নির্বাচন কমিশনার করা হচ্ছে।
তবে এবার ঐতিহাসিক রায় দিল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এখন থেকে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির গঠিত কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশনারের নাম সুপারিশ করবেন। পরে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন।
এসজি