সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তুরস্কের ভূমিকম্পের জন্য কি আমেরিকার হার্প দায়ী?

হাই ফ্রিকুয়েন্সি অ্যাক্টিভ অরোরাল রিসার্চ প্রোগ্রাম সংক্ষেপে হার্প (HAARP)। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি গবেষণা প্রকল্প যা ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করা হয়। উচ্চ তরঙ্গ ব্যবহার করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তর বা আয়োনোস্ফিয়ারে এ গবেষণা চালানো হয়।

তবে এই প্রযুক্তি সম্পর্কে পুরো বিশ্বেই বিতর্কিত মতবাদ প্রচলিত আছে। অনেকেই এই প্রযুক্তিকে দানবীয় প্রযুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের দাবি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি দেশের বা পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে কৃত্রিম উপায়ে বন্যা, খরা, জলোচ্ছ্বাস, এমনকি ভূমিকম্পসহ মানবসৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটানো সম্ভব। তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের পর এই বিতর্ক ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলছে সমালোচনার ঝড়। সবাই আঙুল তুলছে আমেরিকান হার্প প্রযুক্তির দিকে। বলা হচ্ছে বৈশ্বিক রাজনীতির বিরোধীতার অংশ হিসেবে তুরস্ককে উচিত শিক্ষা দিতেই হার্প প্রযুক্তির অপব্যবহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

তুরস্কে ভূমিকম্পের সময় আকাশে বজ্রপাত হতে দেখা গেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্ক জন্ম দিয়েছেন তাত্ত্বিকেরা। সেনঝিনা বোয়াহেন নামে এক নারী এমন একটি ভিডিও টুইট করে লিখেছেন 'তুরস্কের ভূমিকম্প ন্যাটো বা যুক্তরাষ্ট্রের একটি শাস্তিমূলক অভিযানের মত দেখাচ্ছে।' তার দাবি ভূমিকম্পের সময় সাধারণত বজ্রপাত দেখা যায় না কিন্তু হার্প অপারেশনের সময় দেখা যায়।

তবে ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন ভূমিকম্পের সময় বজ্রপাত হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। এ নিয়ে অযথা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। কেবল বহির্বিশ্বে নয়, বাংলাদেশেও হার্প নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে, ছড়ানো হচ্ছে গুজব।

বিতর্কিত তাত্ত্বিকরা আরও সমালোচনায় জড়িয়েছেন এই বলে যে, তুরস্কে ভূমিকম্প হওয়ার একদিন পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলো তুরস্কে তাদের কনসালটেন্ট বন্ধ করে দেয়। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মত কৃষ্ণসাগরের কাছাকাছি আসে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ। ভূমিকম্পের পূর্বে এহেন কার্যকলাপগুলোকে যথেষ্ট সন্দেহজনক বলে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন তারা।

তাদের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় সব আন্তর্জাতিক ইস্যুতে তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করে আসছে। রাশিয়ার সাথে তুরস্কের ঘনিষ্ঠতা চক্ষুশূল হয়ে উঠেছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির। তুরস্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডকে ন্যাটোতে ঢুকাতে চায় তারা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় একই অঞ্চলের তুরস্ক, সিরিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও ইজরাইল ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।

তুরস্কে ভূমিকম্প
গেল ৬ ফেব্রুয়ারি এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের শিকার হয় তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা কাহরামানমারাস। তুরস্কের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় সময় সকাল ৪টা ১৭ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কাহরামানমারাস অঞ্চলের ভূমিকম্পটি ছিল ৭ দশমিক ৪ মাত্রার। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যানুসারে এই ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে মারা গেছেন ১৪ হাজার জন ও সিরিয়ায় ৩ হাজার ১৬২ জন। এর আগে তুরস্কে ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পেও প্রায় ১৮ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেবারের ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।

হার্প বিতর্ক
হার্প নিয়ে বিতর্ক এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় একাধিকবার হার্প প্রযুক্তিকে দোষারোপ করা হয়েছে। এই বিতর্ক শুরু হয় মূলত ২০১০ সালে হাইতির ভূমিকম্পের পর। এ ছাড়াও ২০১০ সালে চিলিতে ভূমিকম্প ও সুনামি, ২০১১ সালের জাপানে ভূমিকম্প ও সুনামি, ২০১৩ সালে ওকলাহোমায় টর্নেডো এমনকি ২০০৬ সালে ফিলিপাইনে ভূমিধসে হাজারেরও বেশি নিহতের ঘটনার জন্য হার্প প্রযুক্তিকে দায়ী করা হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রযুক্তির প্রভাব বিষয়ে হার্পের দিকে আঙুল তুলেছেন বিশ্ব নেতারাও। ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদেনিজাদ ২০১০ সালে পাকিস্তানের বন্যার কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্প প্রকল্পের বৈদ্যুতিক চুম্বকীয় তরঙ্গকে অভিযুক্ত করেছিলেন। একই বছর ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ হার্পকে টেকটোনিক অস্ত্র আখ্যা দিয়ে হাইতির ভূমিকম্পের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রকল্পকে দায়ী করেছিলেন।

তবে এসব বিতর্ক বরাবরই অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইউএসএ টুডে। তারা হার্পের একাধিক গবেষকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছে। তাদের দাবি আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ বা পরিবর্তনের কোনো সক্ষমতাই হার্প প্রযুক্তির নেই। আর আবহাওয়াবিদ এবং জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন, বড় আকারের আবহাওয়া কৃত্রিমভাবে তৈরি করা যায় না।

এসব বিতর্কের তোপের মুখে ২০১৪ সালে হার্পের গবেষণা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। তবে বৈজ্ঞিনাকি গবেষণার প্রয়োজনে পরে তা আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠ আলাদা বিট দিয়ে গঠিত, যাকে প্লেট বলা হয়, যা একে অপরের পাশাপাশি অবস্থান করে। এই প্লেটগুলি প্রায়শই নড়াচড়া করার চেষ্টা করে। কিন্তু পাশে থাকা অন্য আরেকটি প্লেটের সাথে ঘর্ষণের মাধ্যমে এই নড়াচড়া প্রতিরোধ করা হয়। তবে চাপ বেশি বেড়ে গেলে কখনো কখনো একটি প্লেট হঠাৎ করে ঝাঁকুনি দেওয়ায় ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ সরে যায়। এবার এরাবিয়ান প্লেটটি উত্তর দিকে সরে যায় এবং উত্তর দিকে সরে যাওয়া আনাতোলিয়ান প্লেটে গিয়ে ধাক্কা দেয়। প্লেটগুলোর এ ধরণের ঘর্ষণের কারণে অনেক ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। ক্ষতিকর আফটারশক প্রায় এক বছর ধরে চলতে থাকে। বর্তমান ভূমিকম্পের পরে ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি আফটারশক হয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা মনে করছেন যে, এটি এই অঞ্চলে এর আগে হওয়া ভূমিকম্পের মতোই হবে।

তুরস্কের ভূমিকম্পটি ফল্ট লাইন বরাবর প্রায় ১০০ কিলোমিটার ধরে আঘাত হেনেছে এবং এ কারণে ভবনগুলো মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইনস্টিটিউট ফর রিস্ক অ্যান্ড ডিজাস্টার রিডাকশনের প্রধান অধ্যাপক জোয়ানা ফাউর ওয়াকার বলেছেন: 'যে কোনো বছরের তুলনায় সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। গত ১০ বছরের মধ্যে মাত্র দুটি ভূমিকম্প এ মাত্রার ছিল, আর এর আগের ১০ বছরে মাত্র চারটি ভূমিকম্প এ মাত্রার ছিল।'

পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভলকানো এন্ড রিস্ক কমিউনিকেশন বিভাগের রিডার ড. কারমেন সোলানা বলেছেন 'দুর্ভাগ্যবশত দক্ষিণ তুরস্ক এবং বিশেষ করে সিরিয়ায় অবকাঠামোগুলো খুব একটা ভূমিকম্প প্রতিরোধী নয়। তাই জীবন বাঁচানো এখন নির্ভর করবে উদ্ধার তৎপরতার উপর। জীবিতদের উদ্ধারে পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৪৮ ঘণ্টা পর জীবিত মানুষের সংখ্যা অনেক কমে যায়।'

আসলে হার্প কি?
হার্প সম্পর্কিত আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে হার্প হল একটি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প যার লক্ষ্য আয়নোস্ফিয়ার বা ওজন স্তরের বৈশিষ্ট্য এবং আচরণ অধ্যয়ন করা।

আয়োনস্ফিয়ার সম্পর্কে নাসা বলেছে আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর পৃষ্ঠের উপরে প্রায় ৫০ থেকে ৪০০ মাইল প্রসারিত একটি নিরপেক্ষ পর্দা। যা পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে যেখানে আমরা বাস করি ও শ্বাস নেই সেই নিম্নের বায়ুমণ্ডলের সীমানা হিসেবে কাজ করে।

সমবায় গবেষণা ও উন্নয়ন চুক্তির আওতায় ২০১৫ সালে আয়নোস্ফিয়ারিক ঘটনাবিদ্যার অন্বেষণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী থেকে এ প্রকল্প আলাস্কা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়। হার্প আয়নোস্ফিয়ার অধ্যয়নের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সক্ষম উচ্চ-শক্তি, উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি ট্রান্সমিটার। এই প্রকল্প একটি বিশ্বমানের আয়নোস্ফিয়ারিক গবেষণা সুবিধা বিকাশের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশ্ব তথ্যকোষ উইকিপিডিয়ার তথ্যানুসারে হার্প প্রকপ্লের যাত্রা শুরু ১৯৯০ সালে। যার অনুমোদন নিতে সাহায্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রিপাবলিকান সিনেটর টেড স্টিভেন। এবং ১৯৯৩ সালে প্রকল্পটির নির্মাণ শুরু হয়।

তবে আদৌ কি মানব সৃষ্ট প্রযুক্তি দিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটানো সম্ভব না কি নয় সে সম্পর্কে কোনো শক্তিশালী প্রমাণ আজও দিতে পারেনি কোনো পক্ষই।

/এএস

Header Ad
Header Ad

হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ফ্যাসিস্ট, খুনি হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত শহীদ আরাফাতের জানাজা শুরুর আগে তিনি এমন কথা বলে।

তিনি বলেন, গণহত্যাকারীদের আমরা বাংলার মাটিতে বিচার নিশ্চিত করব এই ঘোষণা দিয়েই আমরা এক দফা ঘোষণা করেছিলাম। এক বিন্দু পরিমাণও আমরা পিছ পা হইনি। আমরা বিচার নিশ্চিত করবোই।

তিনি বলেন, যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে এবং ভাবছে বাইরে থেকে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করবে, তাদেরকে বলব বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলার জন্য।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব সারজিস আলম বলেন, আমাদের শহীদের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। আমরা যেন আমাদের ভাইদের স্বপ্নকে যেন কোন ভাবেই ভুলে না যাই। আমরা কোন শহীদের পরিবারের বাবা-মাকে তাদের সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারব না, তবে এতটুকু বলতে পারি খুনিদের বিচার নিশ্চিত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  

এমভি আল-বাখেরা জাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে একটি পণ্যবাহী জাহাজে ডাকাতির ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে ৫ জনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, মৃমুর্ষ অবস্থায় আরও ৩ জনকে পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুইজন মারা গেছেন। ধারাণা করা হচ্ছে, তাদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কোস্টগার্ড ও পুলিশের সদস্যরা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে বাংলাদেশে কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার (ঢাকা জোন) লে. কর্নেল শামস গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছ, জাহাজটির নাম ‘এমভি আল-বাখেরা’। এর মালিক মেসার্স এইচপি এন্টারপ্রাইজ। জাহাজটি নোঙর করা অবস্থায় ছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জাহাজটিতে ডাকাতরা হামলা চালিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।

নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুর সবুর বলেন, চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট এলাকার কাছাকাছি মেঘনা নদী সংলগ্ন এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এমভি আল-বাখেরা নামক নোঙর করা অবস্থায় থাকা জাহাজে মরদেহগুলো গলাকাটা অবস্থায় দেখে আমাদের খবর জানায়।

নৌ পুলিশের ওই উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আব্দুর সবুর আরও বলেন, যতদূর জেনেছি তা হচ্ছে ডাকাতরা ডাকাতির উদ্দ্যেশ্যে জাহাজ আক্রমণ করেন। পরে তাদের প্রতিহত করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলায় জবাই করে দেওয়া হয়। জবাইকৃত ৭ জনের সবাই জাহাজের স্টাফ। এদের একজনের অবস্থা গলা কাটা অবস্থায় আশঙ্কাজনক রয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে এমন ঘটনা এবং নিহতেরা কারা সে সম্পর্কে এখনি সব বলা সম্ভব হচ্ছে না।

Header Ad
Header Ad

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদন;

সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের

মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলম। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদ জব্দ ও বিনিয়োগে বাধাগ্রস্ত করায় মোহাম্মদ সাইফুল আলম ওরফে এস আলম সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এস আলমের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার তার সম্পদ জব্দ এবং বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে; এই ক্ষতি আদায়ের জন্য তিনি আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

এস আলমের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাইফুল আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং তারা তাদের কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। এছাড়া কোনো অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের কাছে একটি 'বিরোধ নিষ্পত্তির নোটিশ' পাঠিয়েছে এস আলম।

নোটিশে সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের মধ্যে বিষয়টির সমাধান না করা হলে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির অধীনে আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

২০০৪ সালে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় এস আলমের আইনজীবীরা এই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছেন।

১৮ ডিসেম্বর পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, এস আলম পরিবার ২০১১ সালে সিঙ্গাপুরের পার্মানেন্ট রেসিডেন্স (স্থায়ী বসবাস) এবং ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশটির নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এস আলমের পরিবারের সদস্যরা ২০২০ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলেও উল্লেখ করা হয় এতে।

আইনি প্রতিষ্ঠান কুইন ইমানুয়েল অ্যান্ড সুলিভানের আইনজীবীদের পাঠানো ওই নোটিশের চিঠি দেখেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি)।

ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, এস আলম পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে, তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং তারা নিজেদের কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। এছাড়া কোনো অফিশিয়াল নোটিশ ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অর্থ পাচারের তদন্ত করছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো।

আরও বলা হয়েছে, এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বদলে ফেলা হয়েছে ব্যাংকগুলোর ম্যানেজমেন্ট টিম। তাদের চুক্তিগুলো ‘যথেচ্ছভাবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই’ বাতিল করে দিয়েছে সরকার।

কুইন ইমানুয়েলের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও তার বিভিন্ন সংস্থার কর্মকাণ্ড ও অবহেলার মাধ্যমে ‘বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করা সম্পদমূল্য পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।’

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, এই অব্যাহত কর্মকাণ্ড ও অবহেলা বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় পাওয়া অধিকার এবং বাংলাদেশের আইন লঙ্ঘন করেছে এবং চলমান বিরোধের ভিত গড়ে দিয়েছে।

দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস অনুরোধ করলেও বাংলাদেশ সরকার এই নোটিশের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের
রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ: ময়ূখ রঞ্জনের বাড়ি ঘেরাও করলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরা
সাদা পোশাকে সেঞ্চুরিতে জ্যোতির ইতিহাস
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ীসহ ৩ জন নিহত
শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে দিল্লিকে কূটনৈতিক চিঠি
বছরখানেক সময় পেলে সংস্কার কাজগুলো করে যাব: আসিফ নজরুল
পপ তারকা ম্যাডোনার সঙ্গে পোপ ফ্রান্সিসের ডিপফেক ছবি ভাইরাল
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
দেশে ১৯ লাখ ৪০ হাজার তরুণ বেকার- বিবিএস’র জরিপ
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রী-সন্তানসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের
যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত