ই-মেইল ফাঁস
লকডাউনে পার্টি করে আবারও প্রশ্নের মুখে জনসন
ই-মেইল ফাঁস হওয়ার পর আবারও বিতর্কে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফাঁস হওয়া ই-মেইল থেকে জানা যায়, করোনাকালীন লকডাউন যখন চলছিল, তখন স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে তিনি পার্টি করেছিলেন।
লকডাউনের বিধি ভেঙে জনসনের পাঁচটি পার্টি করার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।
২০২০ সালের মে মাসের ঘটনা। যুক্তরাজ্যে তখন লকডাউন চলছে। জমায়েত, পার্টি সবকিছুর উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ৪০ জনকে নিয়ে গার্ডেন পার্টি করেছিলেন জনসন।
ব্রডকাস্টার আইটিভি জানায়, ই-মেইলের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানানো হয় অতিথিদের। সেই ইমেল তারা দেখেছে। ‘ব্রিং ইয়োর ওন অ্যালকোহল’ গার্ডেন পার্টির আয়োজন করেছিলেন জনসন।
সে সময়কার বিধিনিষেধ অনুযায়ী মাত্র দুজন বাড়িতে দেখা করতে পারতেন। পাব, রেস্তোরাঁ সব বন্ধ। অথচ এমন এক সময়ে জনসন এই পার্টি করেন।
নিমন্ত্রিত শতাধিক
প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল প্রাইভেট সেক্রেটারি মার্টিন রেনল্ডস এই ই-মেইল শতাধিক মানুষকে পাঠিয়েছিলেন। ই-মেইলে বলা হয়, ‘ভয়ঙ্কর ব্যস্ত সময়ের পর সুন্দর আবহাওয়ার সুযোগ নিন। আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে ১০ নম্বরের বাগানে সন্ধ্যায় সমবেত হবো। দয়া করে ছয়টায় আসবেন এবং নিজের মদ নিজে নিয়ে আসবেন।’
আইটিভি জানিয়েছে, জনসন তার স্ত্রী সহ মোট ৪০ জন সে দিন পার্টি করেছিলেন।
লকডাউনের বিধিভঙ্গের অভিযোগ
জনসনের বিরুদ্ধে লকডাউনের বিধিভঙ্গের অভিযোগ নতুন নয়। ২০২০ সালে তিনি ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক পার্টি করেছেন বলে অভিযোগ। একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এ রকম পাঁচটি পার্টির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছেন।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) বরিস জনসনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তিনি ও তার স্ত্রী কি করোনা বিধিভঙ্গ করে পার্টি করেছিলেন? তার কোনো জবাব তিনি দেননি।
তবে বিরোধী লেবার পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টিসহ বিরোধী দলগুলো বরিস জনসনের তীব্র সমালোচনা করছে।
এসএ/