বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৪০ বছরের ‘যুদ্ধজয়ী’ আনোয়ার ইব্রাহিম

মালয়েশিয়ার জননন্দিত রাজনীতিক আনোয়ার ইব্রাহিম একজন ভাগ্যবিড়ম্বিত নেতা। বারবার তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার হাতছানি পেলেও শেষ পর্যন্ত তা অধরাই থেকে গেছে। উল্টো মিথ্যা মামলায় জেলে খাটাই যেন ছিল তার নিয়তি। ১৯৮২ সাল থেকে রাজনীতির ভুবনে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন তরুণ আনোয়ার ইব্রাহিম, দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হয়ে আজ তিনি সফল হলেন। মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গেও তার রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল চমকপ্রদ ও বৈরিতায় মুখর।

আনোয়ার ইব্রাহিমের বয়স এখন ৭৫। প্রথম নিজের নামটি তৈরি করেছেন একজন ক্যারিসমাটিক ও আগুনের মতো জ্বলে ওঠা ছাত্রনেতা হিসেবে। তিনিই তখন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মালয়শিয়ার মুসলিম তরুণদের সংগঠন ‘আনকাতান বালিয়া ইসলাম মালয়শিয়া (এবিআইএম)’। তবে এরপর অনেককে অবাক করে দিয়ে ১৯৮২ সালে তিনি যোগ দেন ‘ইউনাইটেড মালায়স ন্যাশনাল অগানাইজেশন (ইউএমএনও)’-এ।

১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বহু পুরোনো ইউএমএনও দলে যোগ দেওয়া ছিল তার একটি বিচক্ষণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এখানেই নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বারবার ওপরে উঠিয়েছেন এবং মন্ত্রীসভাতে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন। ১৯৯৩ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের উপ-প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেসময় মাহাথিরকে তিনি প্রত্যাশা মিটিয়ে ব্যাপক সাফল্য লাভে সহায়তা করেন।

তবে তাদের দুজনের মধ্যে উত্তেজনার শুরু হলো ১৯৯৭ সালের এশিয়ার অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে। তারা দুজনেই ধাক্কা খেয়ে গেলেন অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও দুর্নীতিতে। পরের বছর ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে বরখাস্ত করা হলো এবং তিনি মাহাথির মোহাম্মদের বিপক্ষে গণ-আন্দোলনে নেতৃত্ব দিলেন। এই আন্দোলনই মালয়শিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি প্রজন্মকে উৎসাহিত ও বেগবান করেছে। আন্দোলনের নেতা আনোয়ার গ্রেপ্তার হন এবং তার বিপক্ষে সমকামিতা ও দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়।

শুনানিতে তিনি বিতর্কিত অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন। যেহেতু মুসলিম প্রধান দেশ মালয়েশিয়া সমকামিতার কার্যক্রমগুলোকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে, তারপরও তাকে মামলাগুলোতে দোষী সাব্যস্ত করা বিরল হয়ে গেল প্রমাণের অভাবে। আনোয়ার ইব্রাহিম রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলার শিকার হয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানালো। তারপরও তার ছয় বছরের কারাদণ্ড হলো। এরপর ভয়াবহ সহিংস সংঘাত দেশের রাস্তায়, রাস্তায় ছড়িয়ে গেল। এক বছর পর আনোয়ার ইব্রাহিম সমকামিতার জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন।

আনোয়ার ইব্রাহিম সবসময় উল্লেখ করেছেন যে, মাহাথির মোহাম্মদ তাকে রাজনৈতিক হুমকি হিসেবে মনে করেন। আর এজন্য তিনি তার বিপক্ষে প্রচারণা ও কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অভিযোগ ও শাস্তি প্রদান করার পাঁয়তারা করছেন।

২০০৪ সালের শেষের দিকে মাহাথির মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হলে দেশের সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতার মামলায় উল্টো অবস্থান নেয় এবং আনোয়ারকে জেল থেকে মুক্তি দেয়।

তারপর থেকে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি নিজেকে আরও মজবুত অবস্থানে নিয়ে যান। যখন জেল থেকে মুক্ত হলেন আনোয়ার ইব্রাহিম, তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে মাহাথির মোহাম্মদের বিপক্ষে বাস্তবে ও কার্যত সবার প্রধান হিসেবে তুলে ধরতে লাগলেন।

২০০৮ সালের নিবাচনে তার দল শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেন। তবে সে বছর আবার তার বিপক্ষে সমকামিতার অভিযোগ তৈরি করা হলো। তিনি দাবি করলেন, তাকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে এটি সরকারের আরেকটি পদক্ষেপ। অবশেষে ২০১২ সালের হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আনোয়ার ইব্রাহিমকে সব মামলা থেকে মুক্ত করে দেয়। তারা জানালেন, প্রমাণের অভাব রয়েছে।

পরের বছর তিনি নির্বাচনে প্রধান ভূমিকা পালন করলেন ও নতুন মাত্রা তৈরি করলেন। ফলে তিনি ক্ষমতাশীল ‘বারিশান ন্যাশনাল কোয়ালিশন (বিএনসি)’র ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফলাফল এনে দিলেন। তবে আবারও আনোয়ার ইব্রাহিমের রাজনৈতিক আশাগুলো হুমকির মধ্যে পড়ে গেল। ২০১৪ সালে তিনি একটি রাজ্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। যে মামলাগুলোতে আদালতের বিচারে খালাস পেয়েছিলেন, সেগুলো আবার ফিরিয়ে আনা হলো এবং তাকে জেলে বন্দী করা হলো। তবে মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে বহু পুরোনো ও দক্ষ খেলোয়াড় এবং মাহাথির মোহাম্মদের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী কখনো কোনোভাবেই দমে যাননি। তিনি বারবার সামনে আসার চেষ্টা করেছেন।

এর মধ্যে নানা ঘটনায় সবাইকে চমকে দিয়ে ২০১৬ সালে তার সাবেক শত্রু মাহাথির ঘোষণা করলেন, তিনি অবসর বাতিল করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য আবার লড়বেন। তখন ৯২ বছরের মালয়েশিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নেতা জানালেন, তার বিপক্ষে প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাকের আনীত দুর্নীতির মামলাগুলোতে দুর্বল হয়ে গিয়েছেন। এসময় তিনি জেলে বন্দী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে একটি অচিন্তনীয় চুক্তি করলেন। তিনি বিরোধী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় তখন। তাকে জেল থেকে মুক্ত করলেন। দেশের জনগনকে খুশিতে ভাসিয়ে তারা একত্রে বসলেন ও আলোচনা করলেন, করমর্দন করলেন। মালয়েশিয়ার ইতিহাসে একটি অসামান্য রাজনৈতিক পূণমিলনী ও ঐক্যের সূচনা করলেন।

মাহাথির মোহাম্মদ ২০১৮ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তাদের রাজনৈতিক ঐক্যের ‘দি পাকাতান হারাপান অ্যালায়েন্স’ বা আশার মৈত্রী’র নেতৃত্ব দিলেন। থামিয়ে দিলেন বারিশান ন্যাশনাল’সদের ৬১ বছরের টানা দেশটিকে শাসনের ইতিহাস। তাদের এই রাজনৈতিক ঐক্যে মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সত্যিকারেভাবে এবং প্রথমবারের মতো নানা ধর্মের মানুষরা এলেন চারটি দল থেকে। তারা লাভ করলেন দেশের সংখ্যাগুরু মুসলমান, শক্তিশালী চীনা ও ভারতীয় সংখ্যালঘুদের সমর্থন। আবার মালয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী হয়ে মাহাথির মোহাম্মদ নির্দিষ্টভাবে জানালেন যে, আগামী দুই বছরের মধ্যে আনোয়ার ইব্রাহিমের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তিনি তাকে আদালত থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করলেন ও তাকে পুরোপুরি ক্ষমা করে দেবেন।

তবে তাদের রাজনৈতিক ঐক্য অনিশ্চিত ও বিপজ্জনক হতে লাগলো যখন নব্বই বছর বয়সী মাহাথির তার ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইলেন। ফলে আবার মালয়েশিয়ান জাতীয়তাবাদের উত্থান ঘটে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাহাথির মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলে তাদের ঐক্যে ভাঙন ধরে। এর মাধ্যমে আবার খালি হাতে ফিরে গেলেন আনোয়ার ইব্রাহিম।

এরপর আবার ক্ষমতায় এলো ‘ইউনাইটেড মালায়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও)’, নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন মহিউদ্দন ইয়াসিন। তবে মোটে এক বছর পর, মহামারি করোনার সবচেয়ে খারাপ সময়ে প্রধানমন্ত্রী মহিউদ্দিন কয়েক মাসের টালমাটাল অবস্থার পর পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর পদত্যাগ করেন। গত অক্টোবরে তার দলে উত্তরাধিকারী ইসমাঈল সাবরি ইয়াক্বু ক্ষমতা কামড়ে ধরবেন বলে এগুলেন। ইউএমএনও নিশ্চিত হলো যে, তারা নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে আবার ক্ষমতা দখল করতে পারবে। নির্বাচনে আনোয়ার ইব্রাহিমের জাদু ও দূরদর্শিতায় পাকাতান হারাপান অ্যালায়েন্স বেশিরভাগ সিট দখল করে।

টানা ৪০ বছর রাজনৈতিক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সংগ্রাম সফল হলো আনোয়ার ইব্রাহিমের। তিনি হলেন দেশটির ১০তম প্রধানমন্ত্রী।

ওএফএস/আরএ/

Header Ad

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজি ও ২৬ লাখ টাকা কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম ও অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ পৃথকভাবে এই আদেশ দেন।

এর মধ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলার পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ। অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন, তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী ওরফে হাবলু, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল ঠিকাদারি কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলাটি হয়েছিল।

এর আগে ৫ নভেম্বর তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন। পরে আদালত প্রতিবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেন।

পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাদী আব্দুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ২০০৭ সালের ৩০ জুন এজাহারে বর্ণিত চাঁদার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন। পরে ২০০৯ সালের ৭ মে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন।

হলফনামায় বাদী বলেছিলেন, তিনি ‘বিশেষ মহলের’ চাপে বাধ্য হয়ে মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। আসামিদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই, তিনি মামলা পরিচালনা করতে অনিচ্ছুক।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছিল, ১৯৯৭ সালে বাদীর কোম্পানি আব্দুল মোনেম লিমিটেড যমুনা সেতু সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় ২৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার কাজ পায়। কাজটি দুই ভাগে সম্পন্ন করা হয়। ২০০১ সালে ওই কাজের কার্যাদেশ পাওয়ার চেষ্টাকালে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ অন্যরা তাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তদন্তে এবং সাক্ষ্য প্রমাণে মামলার ঘটনাটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারামতে তথ্যগত ভুল প্রমাণিত হয়। সব আসামিকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতির জন্য প্রার্থনা করা হলো।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অপরদিকে ওয়ান-ইলেভেনের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে ২৬ লাখ টাকার কর ফাঁকির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে দুদক। সেই মামলাতেও আজ তাকে খালাস দেন বিশেষ জজ আদালত ১০ এর বিচারক মো. রেজাউল করিম। আজ এ মামলাটিতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদীর আনা অভিযোগ কাল্পনিক ও সৃজনকৃত উল্লেখ করেন বিচারক। পরে এ মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

Header Ad

যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে এআই মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সব কাজেই এআই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এআই। এআই ইন্টেলিজেন্সি রোবট দিয়ে এখন কত কিছুই না করা হচ্ছে পৃথিবীতে। নিউজ প্রেজেন্টার থেকে শুরু করে স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই।

তবে অনেকেই আশঙ্কা করছেন দিন দিন যেন এআই মানুষের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে। পেশা হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। একটা সময় বিশ্বে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার কারণ হবে এআই। তবে গুগল বলছে, এআই সব জায়গায় মানুষের বিকল্প হতে পারবে না। যেমন: কোডিং। এখন পর্যন্ত এআই সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেনি।

সম্প্রতি টেক জায়ান্ট সংস্থার নিউ ইয়র্কের অফিসে বসে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মাতিয়াস বলেন, সবাই কোডিং শিখতে হবে। তিনি আরও বলেন, শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে শেখাটা বরাবরের মতোই এখনো গুরুত্বপূর্ণ। এআই নির্দিষ্ট কাজে সাহায্য করতেই পারে। তবে তা প্রাথমিক স্তরে। কিন্তু সমগ্র কোডিং প্রক্রিয়াকে দখল করতে তার এখনো অনেক সময় লাগবে।

তবে এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এআই তো এরই মধ্যে কোড লেখার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এর উত্তরও দিয়েছেন মাতিয়াস। জানিয়েছেন, এআই কোড লিখলেও তা খতিয়ে দেখার ভার মানুষদেরই। সুতরাং কোডিংয়ের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া বিষয়টি এখনও এআইয়ের নাগালের বাইরে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডেভেলপাররা যে চাপে পড়েছেন তাও মানছেন মাতিয়াস।

Header Ad

প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, প্রবাসীরা যেসব দেশে আছেন সেখানে স্বল্প পরিসরে কিছু ইলিশ পাঠানো যায় কিনা সে বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকায় আমাদের প্রবাসীরা আছে। এর মধ্যে ইউরোপ-আমেরিকায় যেসব এলাকায় আমাদের বাঙালিরা আছে, সেখানে কিছু ইলিশ যায়। এখন আমরা মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নেব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, এ বছর ইলিশ মাছের আহরণ গত বছরের তুলনায় কম ছিল। তার একটি অন্যতম কারণ ছিল সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া। তাছাড়া ভারত থেকে অবৈধভাবে ট্রলার ফিশিংয়ের মাধ্যমে ইলিশ আহরণ করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তবে, এ বছর আমাদের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড এবং নৌ পুলিশ এ বিষয়ে সতর্ক অভিযান চালিয়েছে এবং বেশ কিছু ভারতীয় ট্রলার এবং জেলে আটক করতে পেরেছে।

সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ে কাজ করবে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, বাজারে ইলিশের দাম কেজি প্রতি ১৫০০ টাকা থাকায় এখনো সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ইলিশের দামের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট এবং মধ্যস্বত্বভোগী এবং দাদন-ব্যবসাকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট অংশীজনরা। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে (সরকার)।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চাঁদাবাজি ও কর ফাঁকির মামলা থেকে তারেক রহমানের অব্যাহতি
যে পেশায় মানুষের জায়গা নিতে পারবে না এআই
প্রবাসীদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ
সুপ্তার সেঞ্চুরির আক্ষেপের পরেও বাংলাদেশের রেকর্ড সংগ্রহ
নায়ক নিরবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ স্ত্রীর
মুন্সি সমিতির অফিসে আগুন দিলো আইনজীবীরা
মৃত্যুর ৬ বছর পর প্রকাশ পাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চুর নতুন গান
তানজিম সাকিবের দারুণ বোলিং, জয়ে শুরু গায়ানার
ভিসার জন্য দুপুরে আমেরিকান দূতাবাসে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান