আবারও নির্বাচিত সেই সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী
ছবি : সংগৃহীত
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। পদত্যাগের পর দেশটির পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে তিনি পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন। ৩০ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সুইডিশ রাজার সঙ্গে বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন অ্যান্ডারসন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর সুইডেনের পার্লামেন্টে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। তবে তিনি যে জোট সরকার গড়তে চেয়েছিলেন, তা ভেঙে পড়ায় এবং প্রস্তাবিত বাজেট পাস না হওয়ায়, সেদিনই পদত্যাগ করেন তিনি।
গতকাল ২৯ নভেম্বর (সোমবার) সুইডেনের পার্লামেন্টে আবার ভোটাভুটি হয়। ১০১ জন আইনপ্রণেতা ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসনের পক্ষে ভোট দেন। ১৭৩ জন তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর ৭৫ জন ভোটদানে বিরত ছিলেন। সুইডেনের সংবিধান অনুযায়ী, পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন প্রয়োজন হয় না। প্রার্থীর বিরোধিতাকারী ১৭৫ জনের বেশি না হলেই চলে।
অ্যান্ডারসন এখন শুধু নিজের দল নিয়ে সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে চাইছেন। তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। অ্যান্ডারসনের আগে ৩৩ জন পুরুষ প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে সুইডেন। তিনিই দেশের ইতিহাসে একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অ্যান্ডারসন সরকারের কাজ চালানোটা এখনো খুব একটা স্বস্তির হবে না। ৩৪৯ আসনবিশিষ্ট পার্লামেন্টে তার দল সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের আসনসংখ্যা মাত্র ১০০। এর মানে কোনো আইন পাস করতে হলে এখনও অন্য দলগুলোর সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হবে তাদের।
সোমবার পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে অ্যান্ডারসন নির্বাচিত হওয়ার পর তার দলের পক্ষ থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়, ‘আমরা বিভেদের জাল ভাঙব এবং সহিংসতা ঠেকাব। জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে পরিবেশবান্ধব কাজ করব এবং সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনব। আর এ কাজে নেতৃত্ব দেবেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন।’
২০১৪ সাল থেকে সুইডেনের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যান্ডারসন। এর আগে সুইডিশ ট্যাক্স এজেন্সির উপমহাপরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
টিটি/