নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার ইলন মাস্ক
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। মহাকাশে চীনের স্পেস স্টেশনের সঙ্গে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটের সংঘর্ষ হতে চলেছিল এবং সে সংঘর্ষ এড়াতে চীনের বেশ বেগ পেতে হয়েছিল, এমন অভিযোগের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিরস্কারের শিকার হন ইলন মাস্ক। খবর বিবিসির।
বেইজিং দাবি করেছে, এই বছর স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট এবং তাদের মহাকাশ স্টেশন দুবার খুব কাছাকাছি এসে পড়েছিল। জাতিসংঘের মহাকাশ সংস্থার কাছে এবিষয়ে অভিযোগ করেছে চীন। তবে অভিযোগের বিষয়ে এখনও তদন্ত হয়নি। স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে ইলন মাস্কের রকেট নির্মান প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।
চীনের অভিযোগ, চলতি বছর ১ জুলাই এবং ২১ অক্টোবর মোট দুবার একই ঘটনা ঘটে। প্রমাণ হিসেবে জাতিসংঘের মহাকাশ সংস্থায় কিছু নথি হস্তান্তর করেছে চীন।
চীন তাদের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি নথি প্রকাশ করেছে। সেখানে জানিয়েছে, নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে, চীন তার মহাকাশ স্টেশনে সংঘর্ষ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র লাগিয়েছে।
তবে এ বিষয়ে স্পেসএক্স এর পক্ষ থেকে বিবিসির কাছে তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য করতে আস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। ইলন মাস্ক চীনেও বেশ পরিচিত মুখ। চীনের অভিযোগটি সামনে আসার পর মাস্ক এবং তার স্টারলিংকে তিরস্কার করে নানা পোষ্ট দেয়া হয় চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে।
উইবোতে স্টারলিংকে 'মহাকাশের আবর্জনা' বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। মাস্কের স্যাটেলাইটকে 'আমেরিকার মহাকাশ যুদ্ধের অস্ত্র' এবং ইলন মাস্ককে 'নতুন অস্ত্র' বলেও তিরস্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ইলন মাস্ক বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী টাইমের নজরে ২০২১ সালের বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব বা 'পারসন অব দ্য ইয়ার' হয়েছেন। ১১ বিলিয়ন ডলার বা ৯৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি ট্যাক্স দিয়ে আলোচনায় এসেছেন।
ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নিয়ারদের তালিকা অনুসারে, রকেট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান 'স্পেসএক্স' এবং ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান 'টেসলা' এর প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে পেছনে ফেলে বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। তার সম্পদমূল্য ২৪৪.২ বিলিয়ন ডলার।
টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি দিয়ে সারা বিশ্বে সাড়া ফেলার পাশাপাশি স্পেসএক্সের রকেটগুলো একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে। এমনকি চলতি বছর ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শুধু পর্যটকদের নিয়ে মহাকাশে যান পাঠায় স্পেসএক্স।
কেএফ/