মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত অ্যাসাঞ্জ: দাবি বাগদত্তার
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাজ্যের বেলমার্শ কারাগারে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন বলে তার বাগ্দত্তা স্টেলা মরিস দাবি করেছেন। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে তিনি জানান, স্ট্রোক করায় তার ডান চোখের পাতায় সমস্যার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তির সমস্যা এবং স্নায়বিক ক্ষতি হয়েছে।
গত অক্টোবর মাসে বেলমার্শের কারাগার থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের শুনানিতে অংশ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। অ্যাসাঞ্জের বাগ্দত্তা স্টেলা বলেন তার আবার স্ট্রোকের আশঙ্কা আছে। স্ট্রোকের পর তার এমআরআই স্ক্যান করানো হয়েছে। এখন তিনি স্ট্রোক প্রতিরোধী ওষুধ খাচ্ছেন।
স্টেলা মরিস বলেন, 'সমস্যাটি জরুরিভাবে সমাধান করা প্রয়োজন। চিড়িয়াখানায় আটকে থাকা প্রাণীদের মতো তার জুলিয়ানের। এটা তার মানসিক সমস্যা তৈরি করছে।'
প্রসঙ্গত, আমেরিকায় প্রত্যর্পণের জন্য আইনি লড়াই চলায় বর্তমানে লন্ডনের ওই উচ্চ নিরাপত্তার কারাগারে রয়েছেন অ্যাসাঞ্জ। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকোর্ট। এ মামলার রায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পক্ষে গেলেও কিছু আইনি বাধার কারণে অ্যাসাঞ্জকে এখনই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত এ লড়াই সুপ্রিম কোর্টে গড়াতে পারে।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্রিটিশ আদালতের এক রায়ে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ থাকায় উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। তখন ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। দেশটি আশ্বাস দেয়, অ্যাসাঞ্জকে ফিরিয়ে নেওয়া হলে বড় ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে না। শুক্রবার রায় দেওয়ার পর ব্রিটিশ আদালতের বিচারক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখেই এ রায় দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে সিআইএর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি তথ্য ফাঁস করে উইকিলিকস। তথ্য প্রকাশের পর জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল সিআইএ। ওই সময় ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পান অ্যাসাঞ্জ। তবে ২০১৯ সালে ইকুয়েডর আশ্রয় দিতে না চাইলে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
কেএফ/