মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা, পুলিশকে মারধর  

স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবিদ হাছান জজ মিয়া। ছবিঃ সংগৃহীত

নরসিংদীর শিবপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছাড়াতে না পেরে পুলিশকে মারধর করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা। পরে পুলিশ তাকে আটক করেছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শিবপুর থানায় এ ঘটনা ঘটে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ওই নেতার নাম আবিদ হাছান জজ মিয়া। তিনি উপজেলার পুবেরগাঁও এলাকার মজি মিয়ার ছেলে এবং শিবপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব।

শিবপুর থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়নগরের ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা ও একাধিক মামলার আসামি নাদিম সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে তাকে ছাড়িয়ে আনতে দলবল নিয়ে থানায় যান উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জজ মিয়া। থানায় উপস্থিত হয়েই হাজত খানায় নাদিমের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চান তিনি। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য সবুজ মিয়া তাকে বাধা দেন।

এক পর্যায়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্য সবুজ মিয়াকে মারধর করেন। থানায় উপস্থিত পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা হাজত খানার সামনে থেকে সবুজ মিয়াকে উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশের সদস্যরা এ ঘটনার কারণ জানতে চাইলে জজ মিয়া আরো উত্তেজিত হয়ে পড়েন।

উত্তেজিত জজ মিয়া বলেন, ‘এই থানায় চাকরি করলে তাকে চিনতে হবে। তার কথা শুনতে হবে। তা না হলে এখানে চাকরি করা যাবে না।’

এরপর তিনি নাদিম সরকারকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যও হুমকি দেন। পরে তৎক্ষণাৎ পুলিশ তাকে আটক করে। এ ঘটনায় আহত সবুজ মিয়া বাদী হয়ে শিবপুর থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, আটক জজ মিয়া একজন পেশাদার সন্ত্রাসী। সেচ্ছাসেবক দলের উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব হওয়ার পর তার দৌরাত্ম্য আরও বেড়ে যায়। হত্যা ও মাদক মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে এই নেতার বিরুদ্ধে।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শিবপুর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, ‘থানায় এসে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ফলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে আহত কনস্টেবল সবুজ মিয়া।’

 

Header Ad
Header Ad

তালিকা থেকে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার বাদ পড়ছে: ইসি আনোয়ারুল

বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে জাতীয় নির্বাচন হয় সে লক্ষ্যেই প্রস্ততি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের কাছে ভালো নির্বাচন না করার কোনো বিকল্প নেই। এবার প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত ভোটার তালিকা হালনাগাদ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার একথা বলেন।

তিনি বলেন, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ ভোটার তালিকা করা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, এই সময়ে অনেকে বাদ পড়েছেন বা বাড়িতে ছিলেন না। যারা ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে বাদ পড়েছেন তাদের জন্য সামনে সুযোগ থাকছে। এবার প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় থেকে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার বের হয়েছে, যা হালনাগাদ ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের ভালো একটা নির্বাচন এবং অতীতের গ্লানি মুছে ফেলতে কি কি করণীয় তা আমরা পর্যালোচনা করে রেখেছি। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন সংস্কারের বিষয়ে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে তা আমরা পেতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে একটি প্রতিবেদন পেয়েছি, সেখানে ভালো ভালো প্রস্তাব এসেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে যে বিষয়গুলো আসবে সেগুলো দেখা হবে। সবার চাহিদা অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করতেই হবে, পেছনে ফেরার সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন শতভাগ এবং কমিশনের ওপর চাপ নেই তবে একটি সুষ্ঠু ও ভালো নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে জাতীয় নির্বাচন হয় সে লক্ষ্যই প্রস্ততি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের কাছে ভালো নির্বাচন না করার কোনো বিকল্প নেই। দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মহলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনের একান্ত সচিব মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলী,‌ জেলা নির্বাচন অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে ওয়াজ মাহফিলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোশারফ হোসেন (৪২) নামের একজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হরিণাকুণ্ডুর হাকিমপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত মোশারফ হোসেন ওই গ্রামের খবির মণ্ডলের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দবির মণ্ডল ও তার ভাই খবির মণ্ডলের সঙ্গে একই গ্রামের মহিন, বকুল ও সাঈদের সমর্থকদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামে ওয়াজ মাহফিল আয়োজন নিয়ে বৈঠকের সময় দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে দবির ও মোশারফ গ্রামের মাঠে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুই পক্ষই স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৮ থেকে ১০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মোশারফ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় মোশারফ হোসেনকে কুপিয়ে আহত করা হয়, পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। ইতোমধ্যে মাহিন নামের একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুড়িগ্রাম সীমান্তে লাগানো সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে রাজি হলো বিএসএফ

ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের শূন্যরেখায় গাছে লাগানো সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে সম্মতি জানিয়েছে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে শূন্যরেখায় বিএসএফের সিসি ক্যামেরা, বিজিবির কড়া প্রতিবাদ

বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ভূরুঙ্গামারীর দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে, যেখানে আলমগীর হোসেনের বাড়ির আঙিনা ব্যবহার করা হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কুড়িগ্রামের ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান এবং বিএসএফের পক্ষে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট অনিল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন।

এরপর একই স্থানে বিজিবির দিয়াডাঙ্গা সীমান্ত ফাঁড়ির উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিএসএফ অতি গোপনে আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮-এর ৯ এস সাব পিলারের পাশে ভারতের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে একটি গাছের ওপর সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দিনভর বিজিবি ও বিএসএফের ক্যাম্প ও কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি।

এ অবস্থায় আজ (মঙ্গলবার) ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিএসএফ অবশেষে সিসি ক্যামেরাটি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেয়। সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় জনগণ এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং এতে তাদের উদ্বেগ কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তালিকা থেকে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার বাদ পড়ছে: ইসি আনোয়ারুল
মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১
কুড়িগ্রাম সীমান্তে লাগানো সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে রাজি হলো বিএসএফ
আমাদের এখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান আছে, থাকবে: মমতা
টেকনাফে নৌকাসহ ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ'র ওপর নম্বর কমালো কুবি প্রশাসন
চাঁদাবাজির অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ থানার ১৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড
আমির খানের লুকে পলক, নেট দুনিয়ায় ট্রল
৭ বছর পর চুরির মামলায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের দুই সাংবাদিক আসামি
আদানিকে চুক্তির ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের পুরোটাই দিতে বলেছে বাংলাদেশ
সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ৬ ডিসেম্বর
অবশেষে সাক্ষাৎ হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির
৭ম হোস্টিং সামিট অনুষ্ঠিত হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি
চাকরি ফিরে পেতে রাজপথে বিডিআর সদস্যরা, সরকারকে আলটিমেটাম দিলেন মাহিন
ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা কাজ করছি: আসিফ নজরুল
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ
বাংলা একাডেমির নামে প্রতারণা: হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে লক্ষাধিক টাকা
কোনো ‘শয়তান’ যেন পালাতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিদ্রোহী ১৮ জনকে বাদ দিয়েই ৩৭ নারী ফুটবলারের সঙ্গে বাফুফের চুক্তি
‘পুলিশ চোরের প্রেমে পড়েছে’ গানে থানায় টিকটক, আ.লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার