বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে’

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডোজাররিক। ছবি: সংগৃহীত

চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো নিয়ে ডয়চে ভেলের রিপোর্ট প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে জাতিসংঘ। বুধবার (২২ মে) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ বলেছে তাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগপ্রাপ্তরা যেন সততা এবং দক্ষতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয় তা নিশ্চিতে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডোজাররিক বলেছেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে।

ব্রিফিংয়ে ডয়েচে ভেলের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে একজন সাংবাদিক জানতে চান- ডয়চে ভেলের সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত অসংখ্য কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে পুরস্কার স্বরূপ এদের অনেককে পাঠায় সরকার। জাতিসংঘ মহাসচিব কী এ বিষয়ে অবগত?

জবাবে ডোজাররিক বলেন- হ্যাঁ। ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি আমরা দেখেছি। আপনি হয়তো জানেন যে, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সহকর্মীরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা রিপোর্ট নিয়ে (খবর প্রকাশকারী মিডিয়াকে) জাতিসংঘের তরফে বিবৃতি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন- আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেনো দক্ষতা এবং সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রতিশ্রুতির মধ্যে আরও রয়েছে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং প্রতিশ্রুতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার যাচাই পদ্ধতির অধীনে শান্তিরক্ষী নিয়োগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ নিয়ম এবং কৌশল মেনে চলা।

এরপর একই বিষয়ে ওই সাংবাদিক জানতে চান- শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকর্তা নিয়োগের সময় স্বাগতিক দেশগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে। কিন্তু যে দেশ শান্তিরক্ষা মিশনে লোক পাঠাবে সে দেশের সরকার যদি নিজেই চরম পর্যায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হয় তাহলে এ বাছাই প্রক্রিয়া কীভাবে স্বচ্ছ হবে?

জবাবে মুখপাত্র ডোজাররিক বলেন- আমরা বাছাই প্রক্রিয়া তিন ধাপে সম্পন্ন করি। প্রথম পর্যায়ে বাছাই হয় ব্যক্তিগত মানদণ্ডে, পরের ধাপে বাছাই কাজটা করে স্বাগতিক দেশ এবং অন্য বাছাই প্রক্রিয়াটা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে। তিনি বলেন- আপনাকে বলবো, বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, খুব অল্প সংখ্যক দেশ থেকে শান্তিরক্ষীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। যখনি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তখনি আমাদের শান্তিরক্ষা মিশনের সহকর্মীরা যাচাই-বাছাই নীতি, কর্ম কৌশল অনুসারে শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন। এধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া জড়িত কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মে "মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী" শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠিয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  

ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তি (আবু সালেহ) এনআইডি কার্ড থেকে নেওয়া।ছবিঃ সংগৃহীত

অবশেষে পরিচয় মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি মেহগনি গাছে ফাঁস নেওয়া ব্যাক্তির। তার নাম আবু সালাহ (৪৫) বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নগরকসবা গ্রামে। থাকতেন ঢাকার কেরানীগঞ্জে। তার ছোটভাই আবু রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে তার ছোটভাই আবু রায়হান ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মরদেহ শনাক্ত করেন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছর যাবৎ নেশায় আসক্ত তার বড় ভাই আবু সালেহ, তবে বাড়িতেই থাকতেন। তিন বছর যাবৎ বাড়ি ছাড়া। একেক সময় একেক জায়গায় থাকতেন। তবে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ নয়বাড়ি এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি আছে। চার ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। এলাকায় একটি টেইলার্সে কাজ করতেন আবু সালেহ। সেখান থেকেই বাজে বন্ধুদের পাল্লায় পরে নেশা করা শুরু করেন। গাজা,ইয়াবার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত প্যাথেডিনও নেওয়া শুরু করেন তিনি।

শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদিউজ্জামান জানান, সকাল পৌনে ৯টার দিকে তারা খবর পান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের বিপরীত পাশে ফুটপাতে একটি মেহগনি গাছের চূড়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। সেখানে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আসলে তাদের সহায়তায় গাছ থেকে মরদেহটি নিচে নামানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়।

এসআই আরও জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে। থাকতেন ওই এলাকার ফুটপাতে। মানসিক সমস্যাও ছিল তার।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতের যেকোনো সময় সে ওই মেহগনি গাছের চূড়ায় উঠে গলায় রশি পেচিয়ে ফাঁস দিয়েছেন তিনি।

এসআই বলেন, প্রযুক্তির সহায়তায় সিআইডির ক্রাইম সিন হাতের আঙ্গুলের ছাপের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে। পরে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি মাদকাশক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। পাঁচ বছর যাবৎ তিনি বাড়ির বাইরে থাকতেন। ঢামেকের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক ঢাকা পোস্টের লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড প্রচার করা হয়েছে। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এমন কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফটোকার্ডটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এবং এটি ঢাকা পোস্টের কোনো প্রকৃত প্রকাশনা নয়। ফটোকার্ডে ঢাকা পোস্টের লোগো এবং প্রকাশের তারিখ হিসেবে ‘১৯ জানুয়ারি ২০২৫’ উল্লেখ থাকলেও, ঢাকাপোস্টের ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

 

ছবি: সংগৃহীত

এছাড়া ফটোকার্ডটির ফন্ট ডিজাইন এবং শিরোনামের শেষে দাঁড়ি দেওয়ার মতো বৈশিষ্ট্যগুলোও ঢাকা পোস্টের প্রচলিত ফটোকার্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। উপরন্তু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বা সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা বা মন্তব্যের নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।

তথ্য যাচাইয়ের ভিত্তিতে বলা যায়, ‘ছাত্রদলকে প্রতিহত করতে ছাত্রশিবিরের পাশে থাকার ঘোষণা ছাত্রলীগের’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর।

Header Ad
Header Ad

ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার

বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)। ছবিঃ সংগৃহীত

ভারত থেকে চিনি ও জিরা এনে মজুত করার অভিযোগে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের আমুয়াকান্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মালামালসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফুলপুর উপজেলার সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান হৃদয় (২৮) ও মাসুদ রানা (২৬)।

ফুলপুর থানার ওসি সৈয়দ আব্দুল হাদি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর মেজর ইব্রাহীমের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। এসময় ভারতীয় পণ্য গুদামজাত করার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে ১২০ বস্তা চিনি এবং ১৫ বস্তা জিরা জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় মালামাল চোরাচালানের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ফুলপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ তারেক আলম আটক
২৮ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে চলবে না ট্রেন!
বাবার জানাজার মাঠ থেকে কণ্ঠশিল্পী মনির খানের আইফোন চুরি