ইন্দোনেশিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় নিহত ৫৮, চলছে উদ্ধার অভিযান
ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ায় সপ্তাহব্যাপী চলা ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যার কারণে এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলমান। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে। খবর খালিজ টাইমসের।
ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির এই জেলায় গত শনিবারের (১১ মে) বেশ কয়েক ঘণ্টার মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্টি হয় কাদা ও পাথরের প্রবাহ। এতে ভেসে যায় অনেক বাড়িঘর, ধ্বংস হয়ে যায় রাস্তা ও মসজিদ।
বুধবার (১৫ মে) দেশটির জাতীয় দুর্যোগ বিষয়ক সংস্থার প্রধান সুহারায়ান্তো বলেন, ‘সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৮ জনে।’ তিনি জানান, এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৩৫ জন। এর আগে গত মঙ্গলবার স্থানীয় উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছিলেন নিখোঁজ লোকের সংখ্যা ২২ জন। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩৩ জন।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, অনেক মৃতদেহ পাওয়া গেছে পাশের নদীতে। আগ্নেয়গিরি থেকে ভেসে আসা লাভা ও কাদা বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে প্রচণ্ড গতিতে আশপাশের এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে আর এতে ভেসে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। এ সময় আগ্নেয়গিরির গা বেয়ে শীতল লাভার সঙ্গে বের হয়ে আসে ছাই, বালি আর নুড়ি পাথর।
জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুহারায়ান্তো জানিয়েছেন, বন্যার কারণে যে জঞ্জাল পুরো এলাকজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তা পরিষ্কার করতে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে ছয়টি জেলার পরিবহণ চলাচল এখনও বন্ধ রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে তিন হাজার ৩০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
উদ্ধার কাজে কর্তৃপক্ষ আজ বুধবার আবহাওয়া পরিবর্তন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে, যা সাধারণত কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় কারণে অনেক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে তাকে। ২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যার কারণে ২৪ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।