কোভিড বিধি ভঙ্গের দায়ে সু চির চার বছরের কারাদণ্ড
মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি-কে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই শাস্তি সু চি-র যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রথম ভাগ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আইনের অধীনে ভিন্নমত উসকে দেওয়ার এবং কোভিড বিধি ভঙ্গ করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
সু চি-র বিরুদ্ধে ১১টি অভিযোগ মিয়ানমারের আদালতে তোলা হয়েছে। যার সবকয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের সরকার প্রধানের ভূমিকায় থাকা ৭৬ বছর বয়সী সু চি-কে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তারা। গেল বছরের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে।
সু চি 'লড়াই' করছেন
বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ভঙ্গ করাসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে ৭৬ বছর বয়সি এই নেত্রীর বিরুদ্ধে ।
গণতন্ত্রপন্থী একটা গ্রুপ 'ন্যাশনাল ইউনিটি গভার্নমেন্ট' যারা এই অভ্যুত্থানের বিপক্ষে রয়েছে তাদের একজন মুখপাত্র আগেই বিবিসি কে বলেছিলেন সু চি লড়াই করছেন। তিনি ভালো নেই। সেনাবাহিনী তার জন্য ১০৪ বছরের জেলে রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা চাচ্ছে তিনি যেন জেলখানায় মারা যান।
গতবছরের সাধারণ নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। ওই নির্বাচনে সু চির এনএলডি পার্টি বিপুল ভোটে জয় লাভ করে।
তবে নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলেছিলেন নির্বাচনের বৃহৎ অংশ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ ছিল।
মিয়ানমারের এই অভ্যুত্থান সারাদেশে বিক্ষোভের জন্ম দেয়। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী এবং সাংবাদিকদের উপর ধর-পাকড় চালায়।
পর্যবেক্ষক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার বলছে, জান্তা সরকার ক্ষমতা দখলের পর ফেব্রয়ারি থেকে বিক্ষোভে ১৩শ’র বেশি মানুষ মারা গেছে।
আর যে ১০ হাজার ছয়শ'র বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে সু চি তাদের মধ্যে অন্যতম।
এএস/এসএ/