নিউইয়র্কে ট্রাম্পের ব্যবসা বন্ধ, সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
পর্নো তারকার সঙ্গে কেলেঙ্কারির মামলা চলমান অবস্থায় এবার জালিয়াতির মামলায় ফাঁসলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সম্পদের মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়ে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাড়ে ৩৫ কোটি ডলার জরিমানা করেছে নিউইয়র্কের একটি আদালত। একইসঙ্গে নিউইয়র্কে ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের ব্যবসাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালত বলেছে, মাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্কে নিজের এবং তার দুই ছেলের নামে থাকা সম্পদের মূল্য অনেকগুণ বেশি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেন। এই অপরাধ প্রমাণিদত হওয়ায় তাকে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে রায়ে নিউইয়র্কে ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের ব্যবসাও নিষিদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
তবে, বরাবরের মতো এবারও জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানান তার আইনজীবীরা। আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে উচ্চ আদালত মামলাটি পর্যালোচনা না করা পর্যন্ত এই রায় স্থগিত থাকবে। আর আপিল চলাকালে ট্রাম্প জরিমানা বা ব্যক্তিগত সম্পদ জব্দ এড়াতে চাইলে তাকে ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
জানা যায়, ২০২২ সালে সম্পত্তির মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক লোন ও বীমা সুবিধা নেয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই দেওয়ানি মামলা হয়। তদন্ত শেষে ট্রাম্পের কোম্পানি ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সম্পত্তির অতিরিক্ত মূল্য দেখানো আবার সেই সম্পত্তিরই দাম কম দেখিয়ে আয়করে ছাড় পাওয়া, ব্যবসায়িক রেকর্ড, বীমা জালিয়াতি এবং ষড়যন্ত্রসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করে আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বিচারকের কাছে ট্রাম্পকে জরিমানা করার পাশাপাশি এই অঙ্গরাজ্যে যাতে তিনি ব্যবসা করতে না পারেন, সেই আরজিও জানিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনী ঝামেলা দিন দিন যতই বাড়তে থাকুক, ২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য রিপাবলিকান প্রার্থীদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। অন্য সব মনোনয়নপ্রত্যাশীদের চেয়ে তিনি অনেক অনেক এগিয়ে। বরং বলা যায়, ফৌজদারি মামলাগুলোতে অভিযুক্ত হবার পর যেন তার অবস্থান আরো শক্তিশালী হয়েছে। বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস