নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজঘাটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
দিল্লি পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে সত্যাগ্রহ শুরু করল কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর সংসদ সদস্য পদ খারিজের প্রতিবাদে দিনভর সারা দেশে সত্যাগ্রহ কর্মসূচি করে দলটি।
রবিবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজঘাটে পৌঁছে যান কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, পি চিদম্বরম, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, জয়রাম রমেশ, সলমন খুরশিদসহ কংগ্রেস নেতারা।
এদিকে, রাজঘাটের বাইরে এই সত্যাগ্রহ রুখতে দিল্লি পুলিশ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সকালেই ১৪৪ ধারা (চারের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ) জারি করা হয়। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই নির্দিষ্ট সময়ে রাজঘাটে পৌঁছে যান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। হাতে প্ল্যাকার্ড, রাহুলের ছবি ও দলীয় পতাকা নিয়ে সমর্থক-কর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিন, সারা দেশের সব জেলায় মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির সামনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই সত্যাগ্রহের কর্মসূচি নিয়েছে কংগ্রেস। এই আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক নাম ‘সংকল্প সত্যাগ্রহ’। কর্মসূচি সফল করতে রাজঘাটে গান্ধীর সমাধি চত্বরের বাইরে রাতারাতি এক মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। তাতে গান্ধীজির ছবির পাশে লেখা ‘সত্যমেব জয়তে’ (সত্যের জয় হবে)।
সেখানে কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে বলেন, ‘বিজেপি রাহুল গান্ধীর কণ্ঠ রোধ করতে চায়। সে জন্যই তার লোকসভার পদ খারিজ করা হয়েছে। জনগণ জানুক, কেন রাহুলকে এই শাস্তি দেওয়া হলো।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই সত্যাগ্রহ এক দিনের জন্য। কিন্তু সারা দেশে সত্যাগ্রহীরা এ বার্তাই পৌঁছে দেবেন যে রাহুল গান্ধী সত্যের জন্য লড়াই করছেন। সত্য উদ্ঘাটিত করছেন। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য লড়ছেন।’
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘বিজেপি পরিবাদবাদ নিয়ে অনেক কথা বলে। আমাদের পরিবার নিয়ে দেশবাসী গর্বিত। এই পরিবার চিরকাল দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। এই পরিবারের রক্তে গণতন্ত্র। গণতন্ত্রকে মজবুত করতে আমাদের পরিবার চিরকাল সচেষ্ট থেকেছে।’
দিল্লি পুলিশ কর্তারা জানান, রাজঘাটে গান্ধী সমাধির বাইরে কোনোদিন কোনো আন্দোলন বা ধরনা হয়নি। সে জন্য ১৪৪ ধারা জারি থাকে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নেতারা উপস্থিত হয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার রাতেই দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, সত্যাগ্রহের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাংগঠনিক সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল সেই নির্দেশসহ টুইট করে বলেন, ‘বিরোধীদের বিক্ষোভ করতে না দেওয়া এখন মোদি সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এভাবে আমাদের ভয় দেখানো যাবে না। সত্যের জন্য স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’
এমএমএ/