বিশ্বে করোনায় একদিনে ৪ হাজার ৯৭৩ জনের মৃত্যু
বিশ্বে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় ৪ হাজার ৯৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় এক হাজার। ওদিন করোনায় মারা গেছেন ৩ হাজার ৯৮৩ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৫ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জনে।
আর এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৭২ হাজারের বেশি মানুষ। আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
গত একদিনে রাশিয়ায় ৬৭৩ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫৭ জন, ভারতে ৩০২ জন এবং ফ্রান্সে ২৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেক্সিকোতে মারা গেছেন ৭৬ জন। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ১ হাজার ৪১০ জনের।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২ হাজার ৮৩২ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন।
গ্রিসে ষাটোর্ধ্ব যারা করোনা টিকা নেননি তাদের জরিমানা করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটিতে টিকা নেয়ার হার কম হওয়ায় জনসাধারণকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস।
পোল্যান্ডে করোনার ৫ম ঢেউ চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অমিক্রনের কারণে দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা অনেক বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তিনি।
এদিকে করোনা ঠেকাতে ভ্যাকসিন পাসে অনুমোদন দিয়েছে ফ্রান্সের পার্লামেন্ট। যুক্তরাজ্যে ঝুঁকিতে থাকা ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সি শিশুদের করোনার বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। জাপানে করোনার ৬ষ্ট ঢেউ মোকাবিলায় আংশিক লকডাউন দেয়ার কথা ভাবছে দেশটির সরকার।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে।
এরপর ২০২০ সালের ১১ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
কেএফ/