‘ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় তুরস্কের ৯ হাজার শিক্ষক’
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কেই ৩৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা ও উদ্ধার কাজে তুরস্কের ৯ হাজার শিক্ষক কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী মাহমুদ ওজার।
তিনি বলেন, দেশে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ১০টি প্রদেশের বিদ্যালয়গুলো ১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণার নোটিশটি আরও বাড়ানো হতে পারে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলোর ক্ষতি হিসাব করা না হয়। জীবনযাপনকে স্বাভাবিক করতে হলে আমাদের সবার আগে শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করতে হবে। যেহেতু শিক্ষাই সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রধান চালিকাশক্তি। যত দ্রুত আমরা আমাদের শিক্ষাকে স্বাভাবিক করতে পারব, তত দ্রুত আমরা তুরস্ককে স্বাভাবিক করতে পারব।
শিক্ষামন্ত্রী উল্লেখ করেন, তুরস্কের বাকি ৭১টি প্রদেশে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে। বাকি ১০টি প্রদেশে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবগুলো বিদ্যালয়ের ক্ষতির বিবরণ নির্ধারণ করার আগ পর্যন্ত সেগুলো খোলা সম্ভব হবে না।
ওজার বলেন, ১ মার্চ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে আমরা ঘোষণা করিনি। আমরা ঘোষণা করেছি ১ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত। হয়তো আমরা সেদিন থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করতে পারব না। তবে আমাদের লক্ষ্য হলো, আমরা আমাদের সবগুলো প্রস্তুতি সম্পন্ন করব যদি আমরা ১ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রদান শুরু করি। মন্ত্রণালয় জেলা ও বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যায়ন করছে, প্রদেশভিত্তিক নয়।
তিনি বলেন, অন্যান্য ভবনের তুলনায় আমাদের ক্ষয়ক্ষতি খুবই কম। আমাদের ২০ হাজার ৮৬৮টি শিক্ষাভবন ছিল। তাদের মধ্যে মাত্র ২৪টি ভেঙে পড়েছে ও ৮৩টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিদিন ২০ লাখ গরম খাবার ১০টি ভূমিকম্প আক্রান্ত প্রদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করছে। প্রতিদিন ৬ লাখ পিস রুটি তৈরি করে বিলি করছেন তারা। প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক প্রতিদিন এই প্রদেশগুলোতে ভূমিকম্পে আক্রান্তদের খুঁজে বের করছেন ও তাদের উদ্ধার অভিযানে কাজ করছেন। আরও প্রায় ৪ হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থী ও ক্ষতিগ্রস্তদের মনোসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছেন।
ওজার আরও বলেন, আমরা নিশ্চিত করব যে, আমাদের শিশুরা এই মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠবে।
ওএফএস/