২,৮৪০ সদস্যকে বরখাস্ত করেছে তালেবান সরকার
অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে এমন দাবি করে প্রায় ৩ হাজার সদস্যকে বরখাস্ত করেছে আফগানিস্তানের অন্তবর্তীকালীন তালেবান সরকার। শনিবার তালেবান সরকারের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সদস্যদের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। তারা আপরাধ মূলক কাজের সঙ্গে জড়িত এ অভিযোগ এনে তালেবানদের পক্ষে জানানো হয়েছে যাচাই-বাছাই শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৪০ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে এএফপিকে জানান আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্যানেলপ্রধান লতিফুল্লাহ হাকিমি। তিনি বলেন, 'তারা ইসলামিক আমিরাতের বদনাম করছিল। যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে আমরা ভবিষ্যতে পরিচ্ছন্ন একটি সেনা ও পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে পারি।'
হাকিমি আরও বলেন, বরখাস্ত হওয়া সদস্যরা দুর্নীতি, মাদক ও মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের হস্তক্ষেপের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অনেকের আবার জঙ্গি সংগঠন দায়েশের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছিল। আফগানিস্তানে ১৪টি প্রদেশ থেকে এখন পর্যন্ত সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকি প্রদেশগুলোতেও এ কার্যক্রম চলবে।
আফগানিস্তানে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তালেবান। এরপর তাদের ক্ষমতাচ্যুত করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। গত বছরের আগস্টে আবার আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। তখন থেকেই শাসননীতি নিয়ে সুর বদলেছে তারা। এ বিষয়ে আগের মেয়াদের তুলনায় নমনীয় হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর জের ধরেই সদস্যদের যাচাই-বাছাইয়ে একটি কমিশন গঠন করে তালেবান।
এদিকে শাসননীতিতে পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়া তালেবানের বর্তমান সরকার নানা সমালোচনার মুখে পড়েছে। তাদের অধীনে আফগানদের নানা অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেশি প্রতিকূলতার মুখে পড়েছেন নারীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বলছে, তালেবান কাবুল দখলের পর সরকারি অফিসগুলোতে অধিকাংশ নারী কর্মীদের ফিরতে দেওয়া হয়নি। এমনি অনেক স্কুলে পড়ালেখা করতে মেয়েদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।
কেএফ