সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাকিস্তানের রাজনীতিতে মাথাচাড়া দিচ্ছে উগ্র ডানপন্থীরা

ছবি : সংগৃহীত

তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) একটি উগ্র ডানপন্থী দল। এ সংগঠনকে রাজনীতির মাঠে ফেরার সুযোগ দিল পাকিস্তান। এতে নতুন ভয় কাজ করছে অনেক বিশ্লেষকের মনে। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শুধু পাকিস্তান নয় পুরো বিশ্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

যে বা যারা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেবে, তারা শত্রু হিসেবে গণ্য হবে। এভাবেই আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর তারা দেশটির সাংবাদিকদের শাসিয়েছিল। বলেছিল, এই টিটিপির সঙ্গে অস্ত্রবিরতি করেছে পাকিস্তান সরকার। ফলে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টের ঝুঁকির বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ কম।

গত অক্টোবরের শেষ দিকে টিএলপির দাবির মুখে তাদের প্রায় সাড়ে তিন শ নেতা-কর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতেও তাদের আন্দোলন বন্ধ হয়নি। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে গ্রেফতার হওয়া সংগঠনটির নেতা সাদ রিজভির মুক্তির দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যান। এই নেতার মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে লংমার্চ করেছিলেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

তার মুক্তি ছাড়াও ফ্রান্সের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করার দাবিও ছিল তাদের। কারণ, দেশটির ব্যঙ্গাত্মক সাপ্তাহিক শার্লি এবদো মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে আবার ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছে। তবে লংমার্চ করে টিএলপির নেতা-কর্মীরা ইসলামাবাদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় নৃশংস ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশ জানিয়েছিল, টিএলপির সমর্থকেরা ১০ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। আর নির্যাতন করেছে ১ হাজার ৩০০ জনকে।

২০১৫ সালে টিএলপি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা খাদিম হুসাইন রিজভি। এই সংগঠনটি পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের সমর্থক। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর খাদিম ঘোষণা দিয়েছিলেন, পৃথিবীর বুক থেকে নেদারল্যান্ডসকে মুছে দেওয়া হবে। কারণ, মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র আঁকার প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল নেদারল্যান্ডসের এক রাজনীতিক।

খাদিম মারা যান ২০২০ সালে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও তার হাত ধরেই শুরু। তিনি মারা যাওয়ার পর সাদ রিজভির হাতে সংগঠনের দায়িত্ব। সাদ রিজভি নেতা হওয়ার পর আবারও ফ্রান্সের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলেন। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে এই দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। এই বিক্ষোভের সময় সাদকে গ্রেফতার করা হয়, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

পাকিস্তান সরকার সেই সময় কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু সাত মাসের ব্যবধানে সরকার তার অবস্থান একেবারে উল্টে ফেলল। সাদসহ সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হলো। টিএলপির বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা-ও প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। এই সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সরকারের এই অবস্থান বদলের পেছনে জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়ার কী ভূমিকা, তা-ও জানা যায়নি। সরকারও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি। সরকার বলছে, মহানবী ইস্যুতে তারা কোনো সংঘর্ষে জড়াতে চায় না। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, মহানবী বা ইসলাম ধর্ম ইস্যুতে টিএলপি যে অবস্থান নিয়ে তার বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগের ঘটনার রাজনৈতিক মূল্য দিতে হতে পারে।

টিএলপির নেতা সাদ রিজভির মুক্তির দাবিতে গত ২২ অক্টোবর রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেন তার সমর্থকেরা।

পাকিস্তানের সরকারের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানে যা ঘটছে তা ভারতের জন্য হুমকি নয়। এটা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উগ্রবাদ। যেভাবে সরকার টিএলপির বিষয়টি সমঝোতা করেছে তা একটা টাইম বোমার মতো। উগ্রবাদের এই বোমা যেকোনো সময় ফুটতে পারে।

টিএলপি যে অবস্থান নিয়েছে তাতে করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তারা সমর্থন পাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে তাদের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। তারা দাবি করছে, যুক্তরাজ্য, ইউরোপেই তারা ছড়িয়ে পড়ছে। এ প্রসঙ্গে টিএলপির গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক সাদ্দাম বুখারি দাবি করেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠাতা যখন মারা যায়, তখন ইউরোপ থেকে অনেকে তাকে দেখতে এসেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব পিস স্টাডিসের নিরাপত্তা বিশ্লেষক আমির রানা বলেন, যেভাবে সরকার টিএলপি ইস্যুতে সমঝোতা করল তা ইতিমধ্যে ইউরোপের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের সাম্যাবস্থার ওপর প্রভাব ফেলেছে। আর টিএলপিকে রাজনীতিক করতে দেওয়ার যে সুযোগ দেওয়া হলো তার প্রভাবও বড় আকারে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে আমির রানার বক্তব্য জানা যায়। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ভেতরে কী হচ্ছে, তার ধার ধারে না আন্তর্জাতিক মহল। তাদের উদ্বেগের কারণ হলো, তারা মনে করে, টিএলপি পাকিস্তানের বাইরে থাকা দেশটির নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটা নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারে বলেও মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

টিএলপি ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছে। তারা এ সফলতাকে রাজনীতির মাঠে কাজে লাগাবে কি না, এ প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হাসান আসকারি রিজভি বলেন, পাকিস্তানের রাজনীতি দিনকে দিন ডানপন্থার দিকে এগোচ্ছে। এই অবস্থায় টিএলপির উত্থান নির্বাচনী রাজনীতিতে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন না তিনি।

পাকিস্তানের পাশের দেশ আফগানিস্তানের তালেবান ক্ষমতায় এসেছে। পাকিস্তানের তালেবানরাও হুমকি দিচ্ছে নতুন করে। এই পরিস্থিতিতে টিএলপির উত্থান আন্তর্জাতিক মহলকে উদ্বিগ্ন করবে এটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া টিএলপির উত্থানের জন্য সরাসরি পাকিস্তানি সরকারি বাহিনীকে দায়ী করে মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানদাতাদের পর্যবেক্ষক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) নজরদারিতে দীর্ঘদিন পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় পাকিস্তানে সন্ত্রাস দমনে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের অভ্যন্তরে অনেক হামলার জন্য দেশটির সরকার পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের দায়ী করে থাকে। এই পরিস্থিতিতে টিএলপি দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে ফেলছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আবদুল হাই কানু নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা দিয়ে লাঞ্ছিত করেছেন স্থানীয় লোকজন। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে চৌদ্দগ্রামের নিজ এলাকা কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। রাতে এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠছে।

ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তারুজ্জামান। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম আব্দুল হাই কানু। তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়ন ইউনিয়নের লুদিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা কানু কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। স্থানীয় এমপি মুজিবুল হকের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে আগে একাধিক মামলা হয়েছিল। রোববার দুপুরে তাকে একা পেয়ে স্থানীয় ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি হেনস্তা করে গলায় জুতার মালা দেয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় জামায়াত সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে অহিদ, রাসেল, পলাশসহ ১০ থেকে ১২ ব্যক্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা কানুর গলায় জুতার মালা দিয়ে এলাকা এমনকি কুমিল্লায় থাকতে পারবেন না বলে হুমকি দিচ্ছেন। এ সময় তিনি জুতার মালা সরিয়ে এলাকায় আর আসবেন না বলেও জানান। এ সময় তার ভিডিও ধারণ ও ছবি নেওয়া হয়। ওই ব্যক্তিরা বলতে থাকেন ‘এক গ্রাম লোকের সামনে মাফ চাইতে পারবেন কিনা? অন্যরা বলতে থাকেন তিনি কুমিল্লা আউট, এলাকা আউট, ছেড়ে দাও।’

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ আমাকে একা পেয়ে জোর করে ওরা জুতার মালা গালায় দিয়ে ভিডিও করেন। বিচার কার কাছে চাইব? মামলা দিয়ে আর কী হবে? তারা সবাই জামায়াতের রাজনীতি করে। আমি আওয়ামী লীগ করলেও বিগত দিনে তাদের কোনও ক্ষতি করিনি। উল্টো আওয়ামী লীগের এমপির রোষানলে পড়ে ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলাম।

এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর ওই মুক্তিযোদ্ধা মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে অবগত করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ করবেন না বলেও জানান। তবে রাতে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার আবারও তাকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দেবেন কি না বিষয়টি এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে রোববার রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির মো. মাহফুজুর রহমান জানান, এ ঘটনার সাথে স্থানীয় জামায়াতের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। প্রবাসী আবুল হাসেম আমাদের দলের কেউ না। তবে সমর্থক কিংবা অনুসারী হলেও হতে পারে। এ বিষয়ে আরও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। জড়িতরা আমাদের কেউ হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন

ফাইল ছবি

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তদন্ত কমিশন গঠনের কথা জানিয়েছেন।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টা এতে সই করেছেন।

এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে জানিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ীই তাকে ফেরানো যাবে।

সীমান্তে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের নীতিগত অবস্থানের কোনো পরিবর্তন আসেনি জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গাদের কোনো অবস্থাতেই প্রবেশ করতে দেবো না। যারা অসুস্থ, শুধু তারাই মানবিক দিক বিবেচনায় আশ্রয় পাচ্ছেন।

‘পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দুই মাসের মধ্যে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশের যে কথা বলেছেন, সেটা স্লিপ অব টাং। দুই মাসে নয়, গত দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে ৬০ হাজার প্রবেশ করেছে’, যোগ করেন তিনি।

এ সময় কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধা হেনস্তাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করছে, তাদের আইনের আওতায় অবশ্যই নিয়ে আসবো।

Header Ad
Header Ad

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ। ছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রয়াত উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফকে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে তাকে সেখানে দাফন করা হয়।

এসময় হাসান আরিফের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সরকারের শীর্ষস্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সালেহ আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

গত ২০ ডিসেম্বর উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

তার প্রথম নামাজে জানাজা ২১ ডিসেম্বর বাদ এশা ধানমন্ডি সাত নাম্বার বায়তুল আমান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন বেলা ১১টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় জানাজা ওইদিন দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরে তার মরদেহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে রাখা হয়। সেখান থেকে নিয়ে আজ চিরশায়িত করা হলো হাসান আরিফকে। তার জন্য আজ সোমবার রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে হাসান আরিফ গত ৮ আগস্ট শপথ নেন। ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৪১ সালের ১০ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন হাসান আরিফ। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। ১৯৭০ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা, ভিডিও ভাইরাল
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল ৩ যুবকের
যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ
বিমান বিধ্বস্ত হয়ে একই পরিবারের ১০ জন নিহত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
গাজায় হাসপাতাল-স্কুল ও ‘সেফ জোনে’ ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৫০
আজ রাজধানীর যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে
৯ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে টটেনহ্যামকে হারাল লিভারপুল
লাইভে ‘জুবায়েরপন্থী’ বলায় টাঙ্গাইলে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৬
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে
আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস