শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পাকিস্তানের রাজনীতিতে মাথাচাড়া দিচ্ছে উগ্র ডানপন্থীরা

ছবি : সংগৃহীত

তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) একটি উগ্র ডানপন্থী দল। এ সংগঠনকে রাজনীতির মাঠে ফেরার সুযোগ দিল পাকিস্তান। এতে নতুন ভয় কাজ করছে অনেক বিশ্লেষকের মনে। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শুধু পাকিস্তান নয় পুরো বিশ্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।

যে বা যারা তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেবে, তারা শত্রু হিসেবে গণ্য হবে। এভাবেই আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর তারা দেশটির সাংবাদিকদের শাসিয়েছিল। বলেছিল, এই টিটিপির সঙ্গে অস্ত্রবিরতি করেছে পাকিস্তান সরকার। ফলে আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্টের ঝুঁকির বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ কম।

গত অক্টোবরের শেষ দিকে টিএলপির দাবির মুখে তাদের প্রায় সাড়ে তিন শ নেতা-কর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এতেও তাদের আন্দোলন বন্ধ হয়নি। সন্ত্রাসবাদ বিরোধী আইনে গ্রেফতার হওয়া সংগঠনটির নেতা সাদ রিজভির মুক্তির দাবিতে তারা আন্দোলন চালিয়ে যান। এই নেতার মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের দিকে লংমার্চ করেছিলেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

তার মুক্তি ছাড়াও ফ্রান্সের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করার দাবিও ছিল তাদের। কারণ, দেশটির ব্যঙ্গাত্মক সাপ্তাহিক শার্লি এবদো মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে আবার ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করেছে। তবে লংমার্চ করে টিএলপির নেতা-কর্মীরা ইসলামাবাদের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় নৃশংস ঘটনা ঘটে।

 

পুলিশ জানিয়েছিল, টিএলপির সমর্থকেরা ১০ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। আর নির্যাতন করেছে ১ হাজার ৩০০ জনকে।

২০১৫ সালে টিএলপি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা খাদিম হুসাইন রিজভি। এই সংগঠনটি পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইনের সমর্থক। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার পর খাদিম ঘোষণা দিয়েছিলেন, পৃথিবীর বুক থেকে নেদারল্যান্ডসকে মুছে দেওয়া হবে। কারণ, মহানবীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র আঁকার প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল নেদারল্যান্ডসের এক রাজনীতিক।

খাদিম মারা যান ২০২০ সালে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও তার হাত ধরেই শুরু। তিনি মারা যাওয়ার পর সাদ রিজভির হাতে সংগঠনের দায়িত্ব। সাদ রিজভি নেতা হওয়ার পর আবারও ফ্রান্সের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলেন। এরপর চলতি বছরের এপ্রিলে এই দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। এই বিক্ষোভের সময় সাদকে গ্রেফতার করা হয়, সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।

পাকিস্তান সরকার সেই সময় কঠোর অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু সাত মাসের ব্যবধানে সরকার তার অবস্থান একেবারে উল্টে ফেলল। সাদসহ সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের ছেড়ে দেওয়া হলো। টিএলপির বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল তা-ও প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। এই সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সরকারের এই অবস্থান বদলের পেছনে জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়ার কী ভূমিকা, তা-ও জানা যায়নি। সরকারও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি। সরকার বলছে, মহানবী ইস্যুতে তারা কোনো সংঘর্ষে জড়াতে চায় না। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, মহানবী বা ইসলাম ধর্ম ইস্যুতে টিএলপি যে অবস্থান নিয়ে তার বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগের ঘটনার রাজনৈতিক মূল্য দিতে হতে পারে।

টিএলপির নেতা সাদ রিজভির মুক্তির দাবিতে গত ২২ অক্টোবর রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেন তার সমর্থকেরা।

পাকিস্তানের সরকারের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি পাকিস্তানে যা ঘটছে তা ভারতের জন্য হুমকি নয়। এটা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ উগ্রবাদ। যেভাবে সরকার টিএলপির বিষয়টি সমঝোতা করেছে তা একটা টাইম বোমার মতো। উগ্রবাদের এই বোমা যেকোনো সময় ফুটতে পারে।

টিএলপি যে অবস্থান নিয়েছে তাতে করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তারা সমর্থন পাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে তাদের জনপ্রিয়তাও বেড়েছে। তারা দাবি করছে, যুক্তরাজ্য, ইউরোপেই তারা ছড়িয়ে পড়ছে। এ প্রসঙ্গে টিএলপির গণমাধ্যমবিষয়ক সমন্বয়ক সাদ্দাম বুখারি দাবি করেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠাতা যখন মারা যায়, তখন ইউরোপ থেকে অনেকে তাকে দেখতে এসেছিলেন।

এ প্রসঙ্গে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব পিস স্টাডিসের নিরাপত্তা বিশ্লেষক আমির রানা বলেন, যেভাবে সরকার টিএলপি ইস্যুতে সমঝোতা করল তা ইতিমধ্যে ইউরোপের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের সাম্যাবস্থার ওপর প্রভাব ফেলেছে। আর টিএলপিকে রাজনীতিক করতে দেওয়ার যে সুযোগ দেওয়া হলো তার প্রভাবও বড় আকারে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এ বিষয়ে আমির রানার বক্তব্য জানা যায়। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ভেতরে কী হচ্ছে, তার ধার ধারে না আন্তর্জাতিক মহল। তাদের উদ্বেগের কারণ হলো, তারা মনে করে, টিএলপি পাকিস্তানের বাইরে থাকা দেশটির নাগরিকদের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এটা নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করতে পারে বলেও মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।

টিএলপি ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সফল হয়েছে। তারা এ সফলতাকে রাজনীতির মাঠে কাজে লাগাবে কি না, এ প্রসঙ্গে পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হাসান আসকারি রিজভি বলেন, পাকিস্তানের রাজনীতি দিনকে দিন ডানপন্থার দিকে এগোচ্ছে। এই অবস্থায় টিএলপির উত্থান নির্বাচনী রাজনীতিতে বড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন না তিনি।

পাকিস্তানের পাশের দেশ আফগানিস্তানের তালেবান ক্ষমতায় এসেছে। পাকিস্তানের তালেবানরাও হুমকি দিচ্ছে নতুন করে। এই পরিস্থিতিতে টিএলপির উত্থান আন্তর্জাতিক মহলকে উদ্বিগ্ন করবে এটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া টিএলপির উত্থানের জন্য সরাসরি পাকিস্তানি সরকারি বাহিনীকে দায়ী করে মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানদাতাদের পর্যবেক্ষক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) নজরদারিতে দীর্ঘদিন পাকিস্তান। বিভিন্ন সময় পাকিস্তানে সন্ত্রাস দমনে চাপ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের অভ্যন্তরে অনেক হামলার জন্য দেশটির সরকার পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের দায়ী করে থাকে। এই পরিস্থিতিতে টিএলপি দেশটির সরকার আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে ফেলছে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

টিটি/

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি