মদ বিক্রির রেকর্ড পশ্চিমবঙ্গে
বড় দিন ও ইংরেজি নববর্ষে মদ বিক্রির রেকর্ড গড়ল পশ্চিম বঙ্গ। সাধারণত পূজার সময়ে বেশি মদ বিক্রি হয়। কিন্তু সে হিসাব ছাপিয়ে গেল বড়দিন ও নতুন বছরের মদ বিক্রির পরিমাণে। করোনার আতঙ্ক যতই থাক, বড়দিন ও বছর শেষে পার্টিতে সুরাপানে কোনও রকম খামতি ছিল না বাঙালির। সরকারি হিসাবে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে প্রতিদিন প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে।
পূজার সময় সাধারণত অন্য সময়ের থেকে মদ বিক্রির পরিমাণ বেশি থাকে। পূজায় বিভিন্ন ঘরোয়া ও রেস্তোরাঁর আয়োজনে ফেস্টিভ মুডে থাকা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা সুরাপানের প্রতি ঝোঁক থাকে বেশি। কিন্তু এ বছরের বড়দিন ও বছর শেষের উৎসব সেই হিসাবকেও ছাড়িয়ে গেল। শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়া গায়ে মেখে সুরাপানে মেতে উঠল পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা।
গত বছর পূজাতে সবচেয়ে বেশি মদ বিক্রি হয়েছে। সরকারি হিসাবে গতবছর পূজাতে দেশি মদ ১ দশমিক ৪৬ কোটি লিটার, বিদেশি মদ ৩৭ দশমিক ৯৩ লাখ লিটার, বিয়ার ৪৩ দশমিক ৭৪ লাখ লিটার বিক্রি হয়েছিল।
কলকাতা দেখেছে, ২৫ ডিসেম্বরের রাতে কার্যত মানুষের ঢল নেমেছিল পার্কস্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায়। রেস্তোরাঁয় ছিল না তিল ধারণের জায়গা। করোনা পরিস্থিতি তখনও এতটা ভয়াবহ হয়নি, তাই নিশ্চিন্তেই পার্টিতে মজেছিলেন অনেকে। সেই কারণেই লাফিয়ে বেড়েছে মদ বিক্রির পরিমাণ।
পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে, এই ৯ দিনে রাজ্যে বিভিন্ন পানশালা ও রেস্তোরাঁয় মোট ৬৫০ কোটি টাকার খাবার ও মদ বিক্রি হয়েছে। এর ফলে রাজ্য সরকারের কোষাগারে জমা পড়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। সদ্য আগের বছরে তেমন করে এই খাতে আয় বাড়েনি রাজ্য সরকারের। কিন্তু বছর শেষের হিসাব সদ্য শেষ হওয়া বছরের অঙ্ককে পাল্টে দিল। গত বছরের সঙ্গে তুলামূলক বিচার করলেও দেখা যাবে, লাভের অঙ্ক অনেকটাই বেড়েছে। রাজ্য সরকার সূত্রে যে হিসাব পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে মদের।
সূত্র: নিউজ বাংলা ১৮