ছুরিকাঘাতে আহত সালমান রুশদি ভেন্টিলেটরে
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদি বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন।
রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি এক ইমেইলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্স।
তিনি জানান, লেখক রুশদি তার একটি চোখ হারাতে পারেন। এ ছাড়া তার হাতের স্নায়ু এবং লিভারও গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি কথাও বলতে পারছেন না।
এদিকে হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ। পুলিশ বলছে, হাদি মাতার নামে ২৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি নিউ জার্সির বাসিন্দা।
এর আগে শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিউইয়র্ক শহরের কাছে চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতা দিতে মঞ্চে ওঠার সময় রুশদির উপর এ হামলা হয়। সেখানে প্রায় আড়াই হাজার দর্শক ছিল। পরে তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, কিছু লোক মঞ্চে ছুটে গিয়ে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে মাটিতে চেপে ধরেন। এর আগেই অবশ্য এক নিরাপত্তারক্ষী তাকে আটক করেন।
জরুরি সেবাকর্মীরা উপস্থিত হওয়ার আগপর্যন্ত রুশদির প্রাথমিক চিকিৎসা দেন দর্শকসারিতে উপস্থিত এক চিকিৎসক। পরে বিতর্কিত এই লেখককে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলায় অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হেনরি রিভসও সামান্য আহত হন।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে নিজের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ প্রকাশের পর আলোচনায় উঠে আসেন সালমান রুশদি। এর জন্য সম্মানজনক বুকার পুরস্কার পান তিনি। তবে ১৯৮৮ সালে ‘দ্য সাটানিক ভার্সেস’ বইটির জন্য ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। বইটিতে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বইটি বহু মুসলিমপ্রধান দেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
ইরানের তৎকালীন শীর্ষনেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনি রুশদিকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। এরপর কয়েক দশক আত্মগোপনে ছিলেন মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া এই লেখক। ১৯৯১ সালে বিতর্কিত বইটির জাপানিজ ট্রান্সলেটর হিতোশি ইগারশি হত্যার শিকার হন। তবে ১৯৮৮ সালে ইরান সরকার সেই ‘ফতোয়া’ প্রত্যাহার করার পর থেকে ধীরে ধীরে জনসম্মুখে আসতে শুরু করেন সালমান রুশদি।
আরএ/