গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬ শিশুসহ নিহত ২৪
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি বাহিনী জেট বিমান হামলা চালিয়েছে। দুই দিন ধরে চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ছয় ফিলিস্তিনি শিশুসহ অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১২৫ জন ফিলিস্তিনি।
শনিবার (৬ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনের মতো এ হামলা চালানো হয়। খবর আল-জাজিরার।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় শনিবারও দিনভর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার জাবালিয়াসহ গাজা উপত্যকাজুড়ে বেসামরিক মানুষজন ও স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ফিলিস্তিনি ছিটমহল নিয়ন্ত্রণকারী দল হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অবশ্য এর দায় অস্বীকার করে বলেছে, ফিলিস্তিনি জিহাদিরা রকেট হামলা চালাতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজা উপত্যকায় দুই দিন ধরে চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছয়টি শিশু ও একজন নারী রয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১২৫ জন ফিলিস্তিনি।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাজায় দুই দিন ধরে চলমান ইসরায়েলি হামলায় উদ্বাস্তু হয়েছে অন্তত ৪০টি ফিলিস্তিনি পরিবার।
ফিলিস্তিনের আবাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় ৬৫০টির বেশি আবাসিক ভবন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও ১১টি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
বিমান হামলার জবাবে তেল আবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা। ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ মুভমেন্টের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহর ও বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট ও মর্টার হামলা চালানো হয়েছে। তেল আবিব, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর, আশদাদ, বীরসেবা, আশকেলন, নেতিভত ও ডেরতে ৬০টি রকেট ছুড়েছে তারা।
আরএ/