শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৭ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে দেখা ২০২১

জলবায়ু সম্মেলনেও পরিবেশ বিনাশকারীদেরই দৌরাত্ম্য

পৃথিবী বাঁচাতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে অনেদিন ধরে চলছে বিভিন্ন পরিকল্পনা। ফসিল ফুয়েল, বিশেষ করে কয়লা থেকে সরে আসতে আহ্বান করা হয়েছে অধিক কয়লা ব্যবহারকারী দেশগুলোকে। জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য ক্ষতিপূরণ আর অর্থায়নের বিষয়ে চুক্তিও হয়েছে আগে।

এসব ইস্যুতে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরের ৩১ অক্টোবর সম্মেলন শুরু হয়ে চলে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত। যেখানে একত্রিত হয়েছিলেন বিশ্ব নেতা, পরিবেশবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।

দুই সপ্তাহের দীর্ঘ আলোচনার পরও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি গ্লাসগো চুক্তি। লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে আনা। একই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান উৎস কয়লার ব্যবহার বন্ধ এবং এ খাতে সরকারের ভর্তুকি কমানো। কপ-২৬ এর আলোচনার খসড়া চুক্তিতে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ভারত ও চীনের বিরোধিতার কারণে চূড়ান্ত চুক্তিতে রাখা হয়নি। কয়লার ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ না করে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়েছে। বর্তমান প্রতিশ্রুতি পূরণ করা সম্ভব হলে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করা যেতে পারে বলে ধরণা পরিবেশবিদদের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি বছর প্রায় ৪০ শতাংশ কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী কয়লা। ২০১৫ সালে গৃহীত প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ শতাংশে কমিয়ে আনা। এ লক্ষ্য পূরণের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্যে নামাতে হবে।

গ্লাসগো চুক্তিতে জরুরি ভিত্তিতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজনের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আরও আর্থিক সহায়তার আহ্বান করা হয়েছে।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে ২০২৫ সালের মধ্যে অর্থ সহায়তা দ্বিগুণ করার কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্রতিশ্রুতি যথেষ্ট কি না তা নিয়ে সন্দিহান পরিবেশবিদরা।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, 'আমাদের ভঙ্গুর গ্রহটি একটি সুতোয় ঝুলছে। আমরা এখনও জলবায়ু বিপর্যয়ের দরজায় কড়া নাড়ছি। এটি জরুরি পদক্ষেপে যাওয়ার সময়। নতুবা বৈশ্বিক তাপমাত্রা শূন্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা শূন্য হয়ে যাবে।'

সুইস পরিবেশমন্ত্রী সিমোনেটা সোমারুগা হতাশার সুরে বলেন, 'আমরা গভীর হতাশা প্রকাশ করছি। কয়লা এবং জীবাশ্ম জ্বালানি ভর্তুকিতে আমরা যে লক্ষ্যে একমত হয়েছিলাম তা একটি অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ফলে আরও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এই চুক্তি আমাদের ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির কাছাকাছি নিয়ে আসবে না, বরং এ সিদ্ধান্তে লক্ষ্যে পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে যাবে।'

পরিবেশবাদীদের মতে, '১ দশমিক ৫ ডিগ্রি’ শব্দটি বলা অর্থহীন যদি চুক্তিতে এটি অর্জনের কোনো উপায় বা উপাদানের কথা না থাকে। কপ-২৬ দক্ষিণের দেশগুলোর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর বলেও আখ্যায়িত করছেন কেউ কেউ।

কয়লা ব্যবহার সংক্রান্ত জটিলতা থাকলেও কিছু পর্যবেক্ষক চূড়ান্ত চুক্তিটিকে একটি বিজয় হিসেবে দেখছেন।

তাদের মতে, প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের নথিতে এই ধরনের জীবাশ্ম জ্বালানি বা কয়লার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সকলের প্রতি আশা ব্যক্ত করে বলেন, 'বিশ্ব গ্লাসগো সম্মেলনকে জলবায়ু পরিবর্তনের সমাপ্তির সূচনা হিসেবে দেখবে।' চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি কিছু করার আছে। আজকের চুক্তিটি একটি বড় পদক্ষেপ। কয়লার ব্যবহার পর্যায়ক্রমে কমানোর জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি এটি এবং বৈশ্বিক তাপমাত্রা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় সীমাবদ্ধ করার একটি রোডম্যাপ।'

মার্কিন জলবায়ু বিষয়ক দূত জন কেরি বলেন, 'আসলে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন এড়াতে পরিষ্কার বায়ু, নিরাপদ জল এবং একটি স্বাস্থ্যকর গ্রহ সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক কাছাকাছি চলে এসেছি।'

চুক্তিতে শুধু কয়লার কথা বলা হলেও তেল, গ্যাসসহ অন্যান্য জ্বালানির বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য ছিল না। এ বিষয়েও সমালোচনা করছে অনেক পরিবেশবাদী সংগঠন।

অ্যাকশন এইডের নীতি সংক্রান্ত পরিচালক লারস কচ বলেন, 'জ্বালানির মধ্যে শুধু কয়লার উল্লেখ করা হতাশাজনক। এতে ধনী দেশগুলোকে বিনামূল্যে পাস দেওয়া হলো। যারা তেল ও গ্যাস উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার জন্য এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে পরিবেশ দূষণ করে চলেছে।'

কয়লা 'ফেইস আউট' থেকে 'ডাউন':

এবারের সম্মেলনে জ্বালানি হিসেবে কয়লার ব্যবহার থেকে সরে আসার প্রতিশ্রুতির প্রত্যাশা করেছিল সবাই।

খসড়া চুক্তিতে ২০৫০ সালের পর কয়লা 'ফেইস আউট' হবে এমন ভাষা পরিবর্তন করে 'ফেইস ডাউন' ব্যবহার করা হয়েছে। এর পেছনে ছিল ভারত ও চীনের বিরোধীতা।

খসড়া চুক্তিতে কয়লা ব্যবহার বন্ধে সরকারি ভর্তুকি বাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথায় ভারত ও চীন বিরোধিতা করে। যার ফলে চুড়ান্ত চুক্তিতে তা রাখা সম্ভব হয়নি।

চীন আর ভারতের বক্তব্য হচ্ছে কয়লা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের অর্ধেকের বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় কয়লা থেকে। কাজেই তারা সময় চাচ্ছে।

ভারতের জলবায়ু মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব বলেন, 'উন্নয়নশীল দেশগুলো কীভাবে কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ভর্তুকি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে? যেখানে দেশগুলো এখনও উন্নয়ন এজেন্ডা ও দারিদ্র্য দূরীকরণের সঙ্গে মোকাবেলা করে যাচ্ছে।'

ভারত বলছে, তাদের ২০৭০ সাল লাগবে। প্রত্যাশা ছিল তাদের ২০৫০ সালের মধ্যে কয়লা থেকে সরে আসার।

কয়লা থেকে সরে আসার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে হতাশা দেখা দেয় মারাত্মক। তারপরও কয়লা নিয়ে একেবারে আশাহত নন বিশেষজ্ঞরা।

সম্মেলন শেষে জলবায়ু বিষয়ক ইউরোপীয় কমিশনার ফ্রানস টিমারম্যানস তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, 'আমি অত্যন্ত আনন্দিত ছিলাম যে, কয়লা 'ফেইস আউট' শব্দ ব্যবহারের কারণে। কিন্তু তারপরও যেটা হলো আমি বলব ২৪ ক্যারটের পরিবর্তে ১৮ ক্যারট গোল্ড। তবুও এটি স্বর্ণ। অর্থাৎ জ্বালানি হিসেবে কয়লা থেকে সরে আসার ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ এটি।'

তার মতে, 'যেখানে ছয় মাস আগেও চীন ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ কয়লার ক্ষতির বিষয়টি মানতেই নারাজ ছিল। কিন্তু আইপিসিসি রিপোর্ট দেওয়ার পর এখন সবাই একমত যে আমরা গভীর সংকটে। ওই দেশগুলো ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছে।'

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ ১০-এ রয়েছে বাংলাদেশ। এবারের সম্মেলনে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৮ দেশের জোট ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি বাংলাদেশ।

টিটি/

 

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি