কাবুলে ড্রোন হামলার সাজা পাবেন না কোনো মার্কিন সেনা
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনাসদস্য বা কর্মকর্তাকে সাজা পেতে হবে না।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কারবি এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত আগস্টে কাবুল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রাক্কালে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সদস্য সন্দেহে একটি গাড়িতে ড্রোন হামলা চালান মার্কিন গোয়েন্দারা। এতে গাড়িতে থাকা সাত শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়। পরে ওই হামলাকে ভুল বলে স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র।
জন কারবি বলেন, এ ঘটনার একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের হাতে পৌঁছেছে। সেখানে এ হামলার জন্য কোনো জবাবদিহির সুপারিশ করা হয়নি। তিনি ওই সুপারিশ অনুমোদন করেছেন।
পেন্টাগনের মুখপাত্র আরও বলেন, ড্রোন হামলার ঘটনাটি ‘পদ্ধতিগত ত্রুটির’ কারণে ঘটেছে। অবহেলা বা দুর্বল নেতৃত্বের কারণে হয়নি।
এর আগে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদনে মার্কিন বিমানবাহিনীর মহাপরিদর্শক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি ডি সেইড বলেন, তদন্তে যুদ্ধসংক্রান্ত আইনসহ কোনো আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নিশ্চিতকরণসহ নানা ভুলে দুঃখজনক এ ঘটনা ঘটেছে। সত্যিকার অর্থেই এটা ছিল ভুল। তবে এটা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ছিল না।
জেনারেল সামি আরও বলেন, ড্রোন হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিশ্বাস ছিল যে শিগগিরই একটি জঙ্গি হামলা হতে পারে। আর আসন্ন সেই জঙ্গি হামলা ঠেকাতেই তারা ড্রোন হামলা চালান।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের জন্য হুমকি বিবেচনা করেই ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়েছিল। কিন্তু ড্রোন হামলার চালানোর জন্য পাওয়া তথ্য ঠিক ছিল না। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনুতপ্ত।
এসএন