ইথিওপিয়া ছাড়তে চার দেশের নাগরিকদের নির্দেশ
ছবি : সংগৃহীত
ইথিওপিয়া ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের।
ইথিওপিয়ায় ফেডারেল সেনাবাহিনী ও উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফোর্সের (পিএলএফ) মধ্যে চলা বছরব্যাপী যুদ্ধ নাটকীয় মোড় নিয়েছে। এ যুদ্ধ প্রবল আকার ধারণ করায় এসব দেশের নাগরিকদের ইথিওপিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ বলেন, ’এখন আমরা ইথিওপিয়াকে বাঁচানোর আমরা শেষ পর্যায়ে।’
সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) ফ্রান্সের নাগরিকদের দ্রুত ইথিওপিয়া ত্যাগ করার পরামর্শ দেয় দেশটির সরকার। জার্মানিও যত দ্রুত সম্ভব নাগরিকদের প্রথম ফ্লাইটেই ইথিওপিয়া ত্যাগ করতে বলেছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সেখানকার সাম্প্রতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতির কথা উল্লেখ করে ইথিওপিয়া ছাড়তে বলেছে।
এ ছাড়া জাতি সংঘ জানায়, ইথিওপিয়ায় বসবাসরত সংস্থাটির কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যদের সাময়িক ভাবে সরিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তবে কর্মকর্তারা সেখানেই থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
জাতি সংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক বলেন, যেহেতু পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখব। আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা কথা মাথায় রাখব। তাই আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সরবরাহ করব। এছাড়া যাদের সহায়তা প্রয়োজন তাদের সব ধরনের সহায়তা করব।
গত কয়েক সপ্তাহে টিপিএলএফ রাজধানী আদ্দিস আবাবার কাছে চলে এসেছে। উত্তর ইথিওপিয়ায় সব যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রবেশও সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
জাতিসংঘের দূত জেফরি ফেল্টম্যান জানিয়েছেন, বাস্তব পরিস্থিতি খুবই খারাপ। ইথিওপিয়ার সেনা ও টিপিএলএফ বাহিনী তাদের তৎপরতা বাড়াতে পারে। সেটা হলে শান্তিপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
তবে আদ্দিস আবাবার শান্তি ও নিরাপত্তা ব্যুরোর প্রধান বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। পশ্চিমা মিডিয়া যে ছবিটা তুলে ধরছে, তার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই।
অ্যাবি আহমেদ টাইগ্রে থেকে টিপিএলএফকে ক্ষমতাচ্যূত করতে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেন। তারপর শুরু হয় দুই পক্ষের লড়াই। ২০২০ সালের নভেম্বরের পর থেকে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছেন। ২০ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে বলে জাতি সংঘের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এসএন/এমএমএ