এবার লেবাননের মসজিদে হামলা চালাল ইসরায়েল
ছবি: সংগৃহীত
এবার দক্ষিণ লেবাননে একটি হাসপাতালের পাশে মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘাত শুরুর পর লেবাননে এই প্রথমবারের মতো মসজিদে হামলার ঘটনা ঘটল।
শনিবার (৫ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) গোয়েন্দাদের নির্দেশনায় বিমান বাহিনী রাতভর সালাহ গন্দুর হাসপাতাল সংলগ্ন একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে। ওই মসজিদে হিজবুল্লাহর সন্ত্রাসীরা কমান্ড সেন্টার চালাচ্ছিল।
ইসরায়েল ও আইডিএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে হিজবুল্লাহ সন্ত্রাসীরা ওই কমান্ড সেন্টার ব্যবহার করছিল বলে বিবৃতিতে বলা হয়। সালাহ ঘন্দুর হাসপাতাল জানিয়েছে, অতর্কিত হামলায় তাদের নয়জন মেডিক্যাল ও নার্সিং স্টাফ আহত হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। পাশাপাশি ইসরায়েল সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে অন্তত এক হাজার ২০০ জন। আহত তিন হাজারের বেশি। সেইসঙ্গে অন্তত ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। সেইদিনই গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধ চলছে। এতে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত লাখের বেশি।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গত বছর থেকে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালাচ্ছে। গোষ্ঠীটির ওপর পাল্টা আক্রমণ চালাত ইসরায়েলও। তবে সম্প্রতি হিজবুল্লাহর ওপর হামলা পরিমাণ বাড়িয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। সেইসঙ্গে শুরু করেছে স্থল অভিযান।
শনিবার (৫ অক্টোবর) লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত লেবাননজুড়ে নিহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১২৭ জন শিশু ও ২৬১ জন নারী রয়েছে। এ ছাড়া ১২ লাখের বেশি লেবানিজ ঘরছাড়া হয়েছে।