সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গাজায় আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৩৬

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে একটি আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। খবর আল জাজিরার।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানিয়েছে, বোমা হামলায় একটি পরিবারের বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি। আর আহত ৭৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।

এদিকে, কঠোর অবরোধ ও অবিরাম হামলার মধ্যে থাকা গাজাবাসীরা অনাহারে ভুগতে ভুগতে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে চলে গেছে। ইতোমধ্যেই অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় শিশুসহ অনেকের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষুধায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা লোকজন ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। ত্রাণবাহী ট্রাক দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে, ত্রাণের জন্য হুড়োহুড়ি করছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

জবির গেটে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ছবিঃ সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে জবির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে শিক্ষার্থীরা জবির প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দিতে দেখা গেছে।

এর আগে রোববার সকাল ৮.৩০ থেকে অনশন করেন শিক্ষার্থীরা। অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উপাচার্যের আশ্বাসেও অনশন ভাঙেননি শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, সমাজকর্ম বিভাগ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, সিএসই বিভাগ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগ, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস, অ্যাকাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ, ইতিহাস বিভাগ, আইআর বিভাগ, ফার্মেসি বিভাগ, গণিত বিভাগ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, বাংলা বিভাগ ও গণিত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ‘শাটডাউন’-এর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিভাগের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে প্রধান ফটকে তালা ঝোলানোই ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনো প্রকার যানবাহন ঢুকতে পারছে না। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য পকেট গেট খোলা রেখেছে।

উল্লেখ্য, ২য় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা, শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা, অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীক আবাসন ভাতা দিতে হবে। এই তিনটি দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বেশ কিছুদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছে।

Header Ad
Header Ad

বাবা হারালেন জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী

রায়হান রাফী ও তার বাবা সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী। ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার রায়হান রাফীর বাবা সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন।

রোববার গভীর রাত ২টা ৩৪ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

সোমবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী তমা মির্জা।

ফেসবুকে তিনি লিখেন, রায়হান রাফীর আব্বু আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন। রাত ২টা ৩৪ মিনিটে আংকেল ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা গেছেন।

তমা মির্জা আরও লিখেন, এমন কিছুও যে লিখে জানাতে হবে, কল্পনাও করিনি। আংকেলকে সিলেটে উনাদের পারিবারিক কবরস্থানে আগামীকাল মঙ্গলবার দাফন করা হবে। আন্টির জন্য, রাফীর জন্য, আপুদের জন্য- গোটা পরিবারের জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন এই কঠিন সময়ে তারা ভেঙে না পড়ে। মাটির মতো মানুষটাকে আল্লাহ তার কাছে ভালো রাখবেন, ইনশাআল্লাহ।

প্রসঙ্গত, রায়হান রাফীর বাবা সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। গত কয়েক মাসে তার শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।

Header Ad
Header Ad

অতিবৃষ্টিতে সবুজ হচ্ছে সৌদির মরুভূমি, যা কেয়ামতের আলামত

ছবিঃ সংগৃহীত

কেয়ামতের উল্লেখযোগ্য ছোট আলামত হলো, একদিকে বিশ্বজুড়ে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠাণ্ডা ও দাবদাহসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। এতে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অপরদিকে মরু অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির কারণে ঘটবে এর উল্টোটা। বন্যার কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হবে আরব অঞ্চল। পানির ছোঁয়ায় শুষ্ক মরুভূমি পরিণত হবে সবুজ অরণ্যে।

ইতোমধ্যে এরকম ঘটনার সাক্ষী হয়েছে সৌদি আরব। সম্প্রতি আরবে আকস্মিক বন্যায় আল উতাইবির অধিকাংশ রাস্তা পানির নিচে ডুবে গেছে, পানি দেখা গেছে মদিনার দক্ষিণ অঞ্চলগুলোতেও, রাজধানী রিয়াদের বিভিন্ন রাস্তাও বন্যায় কবলিত হয়েছে। একইভাবে আরবের বুকে দেখা যাচ্ছে সবুজ তৃণলতার দৃশ্য। সাম্প্রতিক সময়ে আরবের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করে অনেক ভূতাত্ত্বিকই এটি নিশ্চিত হয়েছেন। যাকে নবীজির ভবিষ্যদ্বাণীরই প্রতিফলন বলছেন অনেকে।

গত মঙ্গলবার সৌদি আরবের আবহাওয়া অধিদপ্তর, ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেরোলজি, মক্কা ও মদিনাসহ পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। একই সঙ্গে রিয়াদসহ মধ্যাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দুটি প্রদেশ, আসির ও জাজানে অরেঞ্জ অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের বন্যার ঝুঁকি থেকে বাঁচতে সরকারের নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মক্কা ও মদিনার রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে, গাড়ি ভেসে যাচ্ছে এবং ভবনগুলো ডুবে যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন নিচু এলাকা ও উপত্যকায় পানি জমে রয়েছে।

সৌদি আরবের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর এবং রেড ক্রিসেন্ট জানায়, বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার কার্যক্রমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে জনগণকে নিচু এলাকা ও বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সৌদি আরবে জলবায়ু পরিবর্তন গত কয়েক বছরে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মরুর দেশটি এখন নিয়মিত তুষারপাত, বন্যা ও শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ছে, যা আগের কোনো সময়ের নজির নয়। গত বছর শীতকালীন মৌসুমে দেশটিতে তাপমাত্রা মাইনাস ৯.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমেও আকস্মিক বন্যার ঘটনা কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে, কেয়ামতের ছোট আলামত হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কেয়ামতের ছোট আলামত হিসেবে পৃথিবীজুড়ে অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, তীব্র ঠান্ডা এবং দাবদাহের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বাড়বে। এতে বিশ্বজুড়ে ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অন্যদিকে মরু অঞ্চলে অতিরিক্ত ঝড়-বৃষ্টির কারণে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে, আরব অঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে বিপর্যস্ত হবে। পানি দ্বারা শুষ্ক মরুভূমি সবুজ অরণ্যে পরিণত হবে, যা একটি আশ্চর্যজনক পরিবর্তন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জবির গেটে তালা ঝুলিয়ে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা
বাবা হারালেন জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফী
অতিবৃষ্টিতে সবুজ হচ্ছে সৌদির মরুভূমি, যা কেয়ামতের আলামত
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়: ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত  
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আনন্দ মোহন কলেজ হল বন্ধ ঘোষণা  
সীমান্তে উত্তেজনা এড়ানোর আহ্বান বাংলাদেশের  
দেশের মোবাইল ইন্টারনেট নিয়ে সুখবর দিলো বিটিআরসি  
নিজে নিজে হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া  
রিয়ালকে বিধ্বস্ত করে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতল বার্সা  
দাবানলের তাণ্ডব: ৬ দিনেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য সেজে লুটপাট
এলিফ্যান্ট রোডে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম: তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এইচএমপিভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা
বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে ভারতের চার-পাঁচটা ড্রোনই যথেষ্ট: শুভেন্দু
বিপিএলে একই ম্যাচে লিটন ও তামিমের জোড়া সেঞ্চুরির দুর্দান্ত প্রদর্শনী
বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় দেশে শীর্ষে ঢাবি, দ্বিতীয় ড্যাফোডিল, তৃতীয় বুয়েট
উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে শেষ হাসিতে সিলেটের টানা দ্বিতীয় জয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫ হল থেকে আগুনে পোড়া কোরআন উদ্ধার, বিক্ষোভ
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ৬০ দিন
‘অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করেনি’
রাবিতে কোরআন পুড়ানোর ঘটনায় ছাত্রদলের নিন্দা প্রকাশ