যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনায় প্রাথমিক অনুমোদন হামাসের, দাবি কাতারের
ছবি: সংগৃহীত
চলমান গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি বন্দী বিনিময় চুক্তির প্রস্তাবে ‘প্রাথমিক’ অনুমোদন দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
গতকাল বৃহস্পতিবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চুক্তির আওতায় গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির কথা বলা আছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, সম্প্রতি প্যারিসে আলোচনার মধ্য দিয়ে কাতার, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও মিসরের কর্মকর্তারা একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব তৈরি করেন। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সে প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এখন হামাসের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
আনসারি বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি-সংক্রান্ত ‘ভালো খবর’ পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এএফপিকে বলেছেন, ‘চুক্তির রূপরেখা কী হবে, তা নিয়ে এখনো কোনো সমঝোতা হয়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ আছে। কাতারের বিবৃতিটি তাড়াহুড়া করে দেওয়া হয়েছে এবং এটি সত্য নয়।’
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। ওই দিনের হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় এরইমধ্যে কিছুসংখ্যক জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। আর ২৭ জন মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়। ইসরায়েলের দাবি, এখনো ১৩২ জন হামাসের হাতে জিম্মি আছেন।
হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজা উপত্যকায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বাহিনী। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চলমান এ হামলায় এখন পর্যন্ত ২৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। সূত্র : এনডিটিভি ও এএফপি।