গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন ৭ হাজার ফিলিস্তিনি
ছবি: সংগৃহীত
প্রায় তিন মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজা ভূ-খণ্ডে নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। নির্বিচার বোমা হামলায় ধসে পড়েছে অঞ্চলটির বাড়ি-ঘর, স্কুল, মসজিদসহ হাজার হাজার অবকাঠামো। ধসে পড়া এসব অবকাঠামোর নিচে প্রায় সাত হাজার মানুষ আটকে আছেন বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।
সরকারি মিডিয়া অফিস আরও জানিয়েছে, গাজায় এখন মৃত ও নিখোঁজের সংখ্যা ২৯ হাজারে পৌঁছেছে। এছাড়া ছোট্ট এ উপত্যকার উত্তরাঞ্চল এবং গাজা সিটিতে বসবাসরত আট লাখ মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে আছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য কোনো হাসপাতালই অক্ষত নেই।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। যা প্রায় তিন মাস ধরে চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ের মধ্যে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ২১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। বর্তমানে তারা অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র বা খোলাস্থানে থাকছেন। ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজার সাধারণ মানুষ এখন খাদ্যভাবে পড়েছেন।
গাজায় বর্বর হামলা বন্ধের জন্য ইউরোপের দেশগুলোও ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু ইসরায়েলি সরকার জানিয়েছে, গাজা থেকে হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ থামাবে না। তবে তিন মাস ধরে অব্যাহতভাবে হামলা চালালেও হামাসকে নির্মূলের ধারেকাছেও যেতে পারেনি ইসরায়েলি সেনারা।