ইসরায়েলি নারী মুক্তি পেয়ে বললেন, গাজায় ‘ভালো ব্যবহার’ পেয়েছি

ছবি সংগৃহিত
হামাসের হাতে অপহৃত হওয়ার সময়টা ভয়ংকর হলেও গাজায় জিম্মি অবস্থায় তাদের কাছ থেকে ‘ভালো ব্যবহার’ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিপ্রাপ্ত এক ইসরায়েলি নারী। তিনি বলেছেন, বন্দিদশায় তাদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, তার সব বন্দোবস্ত করে রেখেছিল ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি।
অপহরণের সময় হামাস সদস্যরা মারধর করেছিল, কিন্তু গাজা উপত্যকায় বন্দি থাকার সময় ‘ভালো’ ব্যবহার করেছিল বলে জানিয়েছেন মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি নারী ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ। মঙ্গলবার তেল আবিবের একটি হাসপাতালের বাইরে হুইলচেয়ারে তিনি এই কথা জানান। খবর: আল-জাজিরা
ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ বলেন, ‘অপহরণকারীরা গত ৭ অক্টোবর একটি মোটরসাইকেলের পেছনে করে গাজায় নিয়ে যায়। আমি যখন বাইকে ছিলাম, তখন আমার মাথা একপাশে এবং আমার শরীরের বাকি অংশ অন্য দিকে ছিল। পথে তারা আমাকে মারধর করে। এতে আমার পাঁজর ভাঙেনি, তবে আমার শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়েছিল।’
ইসরায়েলি এ নারী আরও বলেন, ‘আমি যেন জাহান্নামের মধ্য দিয়ে গেছি। আমরা ভাবিনি বা জানতাম না যে আমরা এই পরিস্থিতিতে পৌঁছব।’
তবে গাজায় নেওয়ার পর তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হয়েছিল বলে জানান মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি নারী ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ। তিনি বলেন, হামাস সদস্যরা আমার সঙ্গে ভালো আচরণ করেছিল। তারা যে খাবার খেত সেই খাবার আমাকে ও অন্য বন্দিদের খেতে দিত এবং চিকিৎসার জন্য একজন ডাক্তারকে নিয়ে এসেছিল।’
দুই সপ্তাহ ধরে বন্দি ইয়োশেভেদ লিফশিৎজ ও নুরিত কুপারকে (৭৯) গত সোমবার রাতে মুক্তি দেয় হামাস। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস তাদের ‘মানবিক’ কারণে মুক্তি দিয়েছিল বলে গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামলা চালানোর পর থেকে এই নিয়ে চার ইসরায়েলি নারী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তবে বিদেশি এবং দ্বৈত নাগরিকসহ এখনও প্রায় ২১৮ জন হামাসের হাতে বন্দি রয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর ক্ষোভ
নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এদিন ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর ক্ষোভও ঝেড়েছেন অপহরণের শিকার হওয়া এই বৃদ্ধা। তার কথায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামাসের হুমকিকে অবহেলা করেছিল। এছাড়া ব্যয়বহুল নিরাপত্তা বেড়া তাদের কোনো কাজেই আসেনি।
লিফশিৎজ বলেন, শিন বেট (ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা) এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) অসচেতনতা আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। ওরা (হামাস) তিন সপ্তাহ আগেই আমাদের সতর্ক করেছিল- তারা ক্ষেত জ্বালিয়ে দিয়েছিল, আগুনের বেলুন পাঠিয়েছিল। কিন্তু আইডিএফ সেগুলোকে গুরুত্বসহকারে দেখেনি।
