ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত বেড়ে ৫০৮৭ জন

ছবি সংগৃহিত
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৫ হাজার ৮৭ জনে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিও রয়েছেন। আর আহত ১৫ হাজার ২৭৩ জন ছাড়িয়েছে। সোমবার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার এই খবর জানায় কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্মে আল জাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলা কমপক্ষে ৫ হাজার ৮৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ হাজার ৫৫ জন শিশু ও এক হাজার ৪০০ জন নারী রয়েছে।
এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ১২টি হাসপাতাল ও ৩২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে। এসব চিকিৎসাকেন্দ্রে জ্বালানির তীব্র ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েলি বিমান হামলায় ধসে যাওয়া শত শত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে ৮৩০ শিশুসহ প্রায় দেড় হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন।
অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০৫ জন। আর আহত হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৩১ জন। নিহতদের মধ্যে ৩০৭ জন ইসরায়েলি সেনা ও ৫৭ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।
গাজায় হামলা শুরুর পর অধিকৃত পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি তৎপরতা বেড়েছে। সেখানে এ পর্যন্ত ৯৫ জনের প্রাণ গেছে। আর আহত হয়েছেন এক হাজার ৬৫০ জন।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর নির্বিচার বোমা হামলায় ৫৭ চিকিৎসক নিহত ও আরও ১০০ জন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৮২ শিশুসহ ৪৩৬ জন মারা গেছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা এটি।
গাজায় নিখোঁজ রয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এর মধ্যে ৭২০ শিশুও রয়েছে। আর পশ্চিম তীরে গ্রেপ্তার এক হাজার ২১৫ ছাড়িয়েছে।
হামাস ২২২ জনকে জিম্মি করে রেখেছে। এর মধ্যে বেসামরিক নাগরিক ও সেনাসদস্যও রয়েছেন। আর নিখোঁজ হয়েছেন প্রায় ১০০ জন।
